ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খামারি থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনার ব্যবস্থা করবে সরকার

খামারি থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনার ব্যবস্থা করবে সরকার

খামারি পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে খামারি পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৩৩-১৩৪ টাকা, কর্পোরেট পর্যায়ে ১২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১৩২ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১৪০-১৪২ টাকা। এই দাম আরো কমতে পারে, যদি উৎপাদন খরচ কমানো যায়। অস্থিরতা নিরসনে খামারি পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে ডিম আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি বিপণনের মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে সীমিতভাবে ঢাকা শহরে ১১০ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। ফরিদা আখতার বলেন, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যার প্রভাবে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। একই সঙ্গে কৃষি ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম ছিল। ডিমের চাহিদাও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। তাই ডিমের দাম নিয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এ ছাড়া একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে মুনাফার লোভে ডিমের সরবরাহে হস্তক্ষেপ করে। এ নিয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যথেষ্ট অভিযান চালিয়েছে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। এ ছাড়া টিসিবি এবং ট্রাকে করে ন্যায্য মূল্যে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিম আমদানির যে ঘোষণা এসেছে তা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং সাপেক্ষে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সার্টিফিকেট নিতে হবে। এটা ঠিক মতো করা না হলে আমাদের পোল্ট্রির শিল্প ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আমদানিকৃত ডিমের সঙ্গে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে এবং পোল্ট্রি শিল্প বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ফিড ও বাচ্চার ডিলারদের কমিশন যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পোল্ট্রি সেক্টর সংশ্লিষ্ট নয় এরকম সংগঠন ও ব্যক্তি কর্তৃক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া পোল্ট্রিতে কৃষির হারে বিদ্যুৎ বিল ও ব্যাংকের সুদের হার নির্ধারণের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রুভেন বুল তৈরি প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত