টঙ্গীর তুরাগ তীরে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আমণ্ডবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমা শুরু হয়। ৩ ডিসেম্বর মোনাজাতের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটবে। প্রথম পর্বের জোর ইজতেমার আয়োজন করেন শুরায়ি নেজাম। এরপর দ্বিতীয় পর্ব মাওলানা সাদ অনুসারীদের জোড় ইজতেমা আগামী ডিসেম্বরের ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বরে শেষ হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হক্কানি ওলামায়ে কেরামরা জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। জোড় ইজতেমা হলো তাবলিগ জামাতের একটি অনুষ্ঠান। বিশ্ব ইজতেমার আগে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, তাবলিগ জামাতের সব সাথীই জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সাধারণত, তিন চিল্লার সাথীদের নিয়েই এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।টাঙ্গাইল থেকে আসা মো. করিম খান বলেন, গত ১০ বছর ধরে ইজতেমার কাজের নিয়োজিত আছি। এ বছর তিন চিল্লায় সময় দিয়ে কুমিল্লা থেকে টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে অংশ গ্রহণ করি। চলমান পাঁচদিনের জোর ইজতেমা শেষ করে ৪১ দিনের ইসলামের দ্বীনি কাজের মাধ্যমে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইজতেমা ময়দানের মুরুব্বিরা জানান, প্রতি বছর ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচদিনের জোড় হয়ে থাকে। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারী ও বড়দের রাহবারি নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান। যার জন্য পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন। এ জোড়কে কেন্দ্র করে দেশ ও দেশের বাহিরের শুরায়ী নেজামের মুরুব্বিরা একত্রিত হয়েছেন। দাওয়াতের কাজের এক গভীর পদরেখা এখান থেকে অঙ্কিত হয়। যে নকশার উপর কাজ ও কাজের সাথীদের পথ চলতে হয়। বার্ষিক এ একটি আয়োজন কাজের পথকে সঠিক ও মসৃণ রাখতে মূল চালিকাশক্তির কাজ করে। এ জোড় থেকে আগামী এক বছর কাজের ব্যাপারে সঠিক রাহবারি পাওয়া যায়। পুরো বছরের কাজের আজাইম বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজাম (মিডিয়া সমন্বয়ক) হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, গতকাল শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের ভাই নাঈম শাহ সাহেব, জুমার আগে কারগুজারীর আমল হয়। এ সময় কথা বলেন ফারুক সাব (ব্যাঙ্গালোর)। তিনি আরো জানান, বাদ জুমা বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক সাহেব, বাদ আছর বয়ান করবেন মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব, বাদ মাগরিবের পর কারগুজারী আমল হবে।