রাষ্ট্র মেরামত ছাড়া বিদায় নিলে এই প্রজন্ম অন্তর্বর্তী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এনডিএমের আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরের আন্দোলন আমাদের এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা সংস্কারের কথা বলছি। কেমন বাংলাদেশ চাই তা নিয়ে এখন যে তর্ক চলছে আমরা সেটাই চেয়েছিলাম। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন জমা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্র মেরামত না করেই যদি অন্তর্বর্তী সরকার চলে যায়, তাহলে এই জেনারেশন আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
আন্দোলন পরবর্তী জনগণের মাঝে যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছে তার বাইরে গিয়ে আগামীতে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে কোনও সংস্কার টিকে থাকবে না। রাতারাতি কোনও সংস্কারও হবে না। সংস্কারের উদ্দেশ্য হতে হবে প্রত্যেকটা মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি কিনা। বিচার বিভাগের সংস্কার দেশের জনগণের স্বার্থে খুবই জরুরি। যে সংস্কারের জন্য সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য আছে তা এখন করা যেতে পারে।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রথম ধাপে এনডিএমের দেয়া ৯টি সংস্কার খুবই জরুরি। এনডিএমের কোনও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কখনো ফ্যাসিজম হবে না। মানুষের ভোটাধিকার দেশের জমিনে ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম বলেন, প্রস্তাব দেয়ায় কোনও সমস্যা নেই, তবে প্রয়োগে সমস্যা রয়েছে। এত বছর বাংলাদেশ অনেক সূর্য সন্তান দেখেছে আর নতুন করে কোনও সূর্য সন্তান দেখতে চায় না। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার হবার পরেও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে যেন ফ্যাসিস্ট ফিরে আসতে না পারে। রাজনীতি নষ্ট করেছে জাতীয় পার্টি। নেতাদের বিক্রি করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কোনোভাবেই সুযোগ দেয়া যাবে না।