ঢাকা ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসতি

মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসতি

‘স্টারশিপ কি মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাবে?’- একজন এক্স ব্যবহারকারীর এমন প্রশ্নে বিশ্বের অন্যতম আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক বলেছিলেন, একদিন মঙ্গল গ্রহের যাত্রা হবে ফ্লাইট ট্রিপের মতো। তবে কি তার সেই স্বপ্নই বাস্তব হতে চলেছে? কেনো না ইলন মাস্ক জানিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যেই তিনি মঙ্গলে মানুষের জন্য গড়তে চান বাসযোগ্য শহর। আর ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে তৈরি করবেন ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর। সম্প্রতি, স্পেসএক্সের সুপার হেভি বুস্টার সফলভাবে লঞ্চ প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করার পর, ইলন মাস্ক তার এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানান। স্পেসএক্সের এই সাফল্য মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য কম খরচে মহাকাশযান পাঠানোর সুযোগ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য তার। মাস্ক আরো জানান, ৩০ বছরের মধ্যে সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকলে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখের বেশি মানুষের জন্য তৈরি করা হবে একটি স্বনির্ভর শহর। এর আগে ২০২১ সালে আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। বলেছিলেন মানুষ অন্যান্য প্রাণীর মতো এক গ্রহের প্রাণী হতে পারে না। মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী প্রাণী হতে হবে। মানুষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে শেষবার চাঁদের বুকে পা রেখেছিল। তাদের আবার সেখানে যেতে হবে এবং সেখানে স্থায়ী ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এরপর মঙ্গলের বুকের শহর বানিয়ে মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী সভ্যতার ধারক ও বাহক হতে হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহ প্রতি ২৬ মাসে পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সেই সময়ের মধ্যে লাখ লাখ টন কার্গো ও যাত্রীবাহী যান পাঠাতে হবে শহর গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু ইলন মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু কোটস। তিনি জানান, মঙ্গলে মানুষের উপস্থিতি সেখানে গবেষণা এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানকাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার মতে, মঙ্গলে শহর নির্মাণ করলে গ্রহটি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে, যা সেখানে প্রাণের সন্ধানের গবেষণাকে জটিল করে তুলবে। তাই সেখানে একজন নভোচারী পাঠানোই যথেষ্ট হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত