আপাতত সারের কোনো সংকট নেই, বীজেরও সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষক যাতে পরামর্শ, সার, বীজ ও পানি ঠিকমতো পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সারের ব্যবহার পরিমিত পরিমাণে করতে হবে এবং জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষি জমি কমছে, তারপরও ১৮ কোটি লোককে খাবার যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এ কৃতিত্ব কৃষক, কৃষিবিদ, গবেষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার বলে তিনি জানান।
গতকাল সোমবার বিকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মকর্তাদের মনিটরিং বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আসন্ন বোরো মৌসুম খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই কর্মকর্তাদের বোরোর ফলন বৃদ্ধির চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ বছর আলুর আবাদ অনেক বৃদ্ধি পাবে, তাই যারা আলুর বীজ পাবেন না, তারা উচ্চমূল্যের ভূট্টা ফসল আবাদ করবেন। তিনি আরো বলেন, কৃষিতে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে কৃষকের লাভ, কৃষির উন্নতি ও ফলন বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। খাদ্য উৎপাদনে কৃষকের সাফল্য অনেক। আগে ছিল ৭ কোটি জনসংখ্যা, এখন ১৮ কোটি জনসংখ্যা। সাড়ে সাত কোটি জনগণকে আমরা যে জমি দিয়ে খাদ্য যোগান দিয়েছিলাম, তার চেয়ে কম জমি দিয়েও আমরা খাবার যোগান দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছি।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত, পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং সেখানে কম্বল বিতরণ করেন। পরে রংপুর জেলা পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে রংপুর বিভাগের সব জেলার পুলিশ ইউনিট, মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।