ঢাকা ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি ঘোষণায় সাব কমিটি হচ্ছে

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি ঘোষণায় সাব কমিটি হচ্ছে

রাজধানীর হেয়ার রোডে শতবর্ষী প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করা নিয়ে সুপারিশ করতে একটি সাব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সুপ্রিমকোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে করা বিশেষ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নিজেই বাসভবন নিয়ে বিস্তারিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত রোববার এ বিশেষ সভা আহ্বান করেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন সুপ্রিমকোর্ট সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ঐতিহ্যগত দিক বিবেচনা করে এই ভবনটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে বিচারপতিদের মতামত নিতে প্রধান বিচারপতি এই সভা আহ্বান করেন।

গত ১০ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিমকোর্ট। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। সে উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওই সভায় ভববনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে তা সংরক্ষণের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এ বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সুপ্রিমকোর্ট সূত্র জানায়।

জানা গেছে, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী করার পর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল, সেসব ভবনের একটি হচ্ছে হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন। মোঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলির মিশ্রণে ১৯০৮ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ভবনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্দেশে ব্যবহৃত হলেও পঞ্চাশের দশক থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত