অনেকেই ফোনে ব্লটুথ চালু করে হেডফোন, ইয়ারফোন, ইয়ারবাড কানেক্ট করেন। এগুলো ব্যবহার শেষেও ব্লুটুথ অফ করতে ভুলে যান। আপনিও যদি এই কাজটি করে থাকেন তবে সতর্ক হোন। না হয় আপনার ফোন হ্যাক হতে পারে। যারা সবসময় ব্লুটুথ চালু রাখেন, তাদের ফোন খুব সহজেই হ্যাক করে নিতে পারছে হ্যাকাররা। আর এই স্ক্যামের নাম দেয়া হয়েছে ব্লুবাগিং। জেনে নিন এই স্ক্যামের মাধ্যমে কীভাবে মানুষকে ঠকাচ্ছে স্ক্যামাররা? আর কীভাবে নিজেকে এই ধরনের স্ক্যাম থেকে থেকে বাঁচাবেন? ব্লুবাগিং কী? ব্লুবাগিং এমন একটি শব্দ, যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এর মাধ্যমে হ্যাকাররা আপনার ডিভাইস হ্যাক করে। হ্যাকাররা আপনার ব্লুটুথের সাহায্যে আপনার ফোন হ্যাক করে এবং এতে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে। আজকাল প্রায় সবসময়ই ফোনের ব্লুটুথ অন থাকে। স্মার্টওয়াচ ও ইয়ারবাড কানেক্ট করতে ব্লুটুথ অন রাখতে হয় সবসময়ই। ফলে হ্যাকাররা এবার ফোনের ব্লুটুথকে বেছে নিয়েছে। ডিভাইস হ্যাক হতে পারে : হ্যাকাররা এমন ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে, যারা সবসময় তাদের ব্লুটুথ চালু রাখে। তারা বিশেষ করে পাবলিক প্লেস, রেলস্টেশন, বাস স্টেশনের মতো পাবলিক প্লেসে লোকজনকে টার্গেট করে।
এসব ভুল করবেন না : আপনার ব্লুটুথ পাসওয়ার্ড শক্তিশালী রাখুন, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ১২৩৪ বা কিছু সাধারণ পাসওয়ার্ড রাখেন, যা হ্যাক করা সহজ। ব্লুটুথ অন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে প্রচুর ব্লুটুথ কানেকশন দেখানো হয়। প্রথমে অন করার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে সরিয়ে ফেলুন। কাজের সময় ব্লুটুথ চালু রাখবেন না এবং বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে এই ভুল করবেন না। ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনে আসা যে কোনো ডেটা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। সম্ভব হলে ভিপিএনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটাও মনে রাখবেন যে, ভিপিএনটি সুরক্ষিত হওয়া উচিত।