সুসংবাদ প্রতিদিন

চরাঞ্চলে কালাই ও বাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

যমুনা নদীর তীরবর্র্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা। এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা চরাঞ্চল। আর এ চরাঞ্চলে এবার রবি মৌসুমে চিনা বাদাম ও মাসকালাইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে বাজার দাম ভালো থাকার আশায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর মাষকলাই ও ৯০৫ হেক্টর বাদামের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা এ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়েও লাভজনক এ দুটি ফসলের চাষাবাদ করেছে। স্থানীয় অনেক কৃষক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ওই উপজেলার চরাঞ্চলে বাদাম ও মাসকালাই চাষাবাদ করে। এ চাষাবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়ে থাকে। মাসকালাই ভাদ্র মাসে বুনে অগ্রহায়ণ মাসে কাটা ও মাড়াই করা হয়। এতে বিঘাপ্রতি প্রায় ৫ মণ ফলন উৎপাদন হয় এবং বাদাম কার্তিক মাসে রোপণ করে ফাল্গুন মাসে উত্তোলন করা হয়। বাদাম বিঘাপ্রতি প্রায় ১২ মণ উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে এ চরাঞ্চলের বিশেষ করে নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, খাসরাজবাড়ি ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার চরাঞ্চলে এবার ওই দুটি ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এখন খুশি। এ চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ লাভজনক চাষাবাদ আগামীতে আরো বাড়তে পারে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ চাষাবাদ কাজিপুর চরাঞ্চলে ভালো হয়েছে। এছাড়া যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ দুটি ফসলের চাষাবাদ হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।