সরকার পতনের আগে-পরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফেরত আনতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সে বিষয়ে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তুরস্ক ইন্টারন্যাশনাল জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওদের সঙ্গে আলোচনাটা অব্যাহত থাকবে। কারণ, বিচার ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে বাকি কিছু ঠিক থাকার প্রশ্নই নেই। গতকাল বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার বিগত দিনে যে ক্ষতি করেছে, (একই কারণে) সেখানে (তুরস্কে) ১২ হাজারের মধ্যে চার হাজার বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এক লাখ ২৫ হাজার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ কী করবে, না করবে তা বোঝার ও চিন্তার বিষয় আছে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, যারা যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন তাদের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। তাদের কীভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়, সেটা তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে প্রচলন আছে। যারা দেশে আছেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং রাজনীতিবিদণ্ড স্বৈরাচারের সঙ্গে একাত্মতা দেখিয়ে এত লোকের প্রাণহানি ঘটিয়েছেন। গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হেফাজতে হত্যাকাণ্ড, জেলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু। সার্বিকভাবে যে কাজগুলো, এমনটা তুরস্কেও হয়েছিল। বৈঠকে তুরস্কের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য তাজভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম বৈঠকে অংশ নেন।