খেলার মাঠে পরিচয় হয়েছিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তিন কিশোরের। এরপর নিজেদের মধ্যে সখ্যতা তৈরি হলে এক মাস আগে কদমতলীর খালপাড়ে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী একাধিকবার ব্যাংকে রেকিও করা হয়। পরে সুবিধামতো সময়ে ব্যাংকে হানা দেয় তারা। গতকাল শুক্রবার সকালে থানা ভবনে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন দক্ষিণ কেরানিগঞ্জ থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, ডাকাতির চেষ্টা করা ওই তিন কিশোর গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল একজন কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে। তবে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই কর্মকর্তা বলেন, মূলত আইফোন ও মোটরসাইকেল কিনতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল তারা। গত ১ মাস ধরে তারা ব্যাংকের ভেতর ও আশপাশে রেকি করে। ঘটনার দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাংকে ঢুকেই সিসি টিভির ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং হার্ডডিস্ক নষ্ট করে দেয় তারা। তিনি আরো বলেন, ডাকাতির ঘটনার একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে কেউ আছে কী না তা জানতে ২২ বছর বয়সী আসামি নিলয়কে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজনের বয়স ১৮ বছরের কম থাকায় তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। মূলত তারা সিনেমা দেখে ডাকাতির জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে। এদিকে ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংকসংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।