খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলি ইমাম মজুমদার বলেছেন, আমন সংগ্রহ মৌসুমে সরকারি মূল্যে ধান-চাল সরবরাহ করলে কৃষক-মিলারদের লোকসানের সুযোগ নেই। উৎপাদন খরচের সাথে লাভ যুক্ত করেই উচ্চপর্যায়ের কমিটি এ মূল্য নির্ধারণ করেছে। আগামী মৌসুমে এ দাম আবারো সমন্বয় করা হবে। গতকাল সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজে রাজশাহী বিভাগের সব জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নাত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে মূল্য বাড়লে ওএমএস, ভিজিডিসহ বিভিন্নভাবে এ ধান-চাল বাজারে সরবরাহ করে মূল্য স্থিতিশীল রাখা যাবে। চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় চাল ৯২ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন, ধান ৫৩ হাজার ৩৫৯ টন ও আতপ চাল ১৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চাল ২৮ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ও ধান ২০৬ মেট্রিক টন অর্জিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মদ এনডিসির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ. খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন প্রমুখ। এ সময় রাজশাহী বিভাগের সব জেলা প্রশাসক ও সব জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।