দুর্নীতি রুখতে কঠোর ত্রাণ উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লবের হাওয়া লেগেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারি সংস্থাগুলো নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের মতো ব্যবহার করেছে। এতে সরকারি সংস্থাগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। তবে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সেই চিত্র পাল্টে গেছে। অন্তর্র্বতী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্নীতি ও অনিয়ম দূরীকরণে বড় ধরনের সংস্কার আনছে। এই সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিরাট পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।
জানা গেছে, সারা দেশে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-কাবিখা) এবং দুস্থ’ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ ও দুস্থ’দের দুম্বার মাংস বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ওতোপোতভাবে জড়িত থাকেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু অসাধু পিআইও জনগণের সেবার চেয়ে এমপি ও মন্ত্রীদের সেবায় বেশি ব্যস্ত ছিলেন। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারের বরাদ্দ মন্ত্রী, এমপি ও অসাধু পিআইও ভাগবাটোয়রা করে নিজেদের পকেট ভারি করতেন। কখনো কখনো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর পিআইও বদলির আদেশ করলেও কোনো লাভ হয়নি, মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরে বদলির আদেশ বাতিল করতে হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের সময়ে পিআইও বদলি বেশ কঠিন ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কাছে। তবে, অন্তরবর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীরপ্রতীকের কঠোর পদক্ষেপে মাত্র চার মাসে সারা দেশে শতাধিক পিআইও বদলি এবং একযোগে ১৩ জন ডিআরওকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক নজরবিহীন ঘটনা। এ বিষয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, জনগণের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিতে পিআইওদের একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না। সেখানে বহু পিআইও একই কর্ম¯’লে ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরের কারণে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে পিআইও বদলি করা বেশ কঠিন ছিল। সেখানে অন্তর্র্বতী সরকারের চার মাসের মধ্যেই শতাধিক পিআইও বদলি করেছে। একইসঙ্গে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের (ডিআরও) পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কাজের গতি বেড়েছে।
জানা গেছে, ফারুক ই আজম, বীরপ্রতীক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অব¯’ান নিয়েছেন। এ খাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ও দলীয় বিবেচনায় একই কর্মস্থলে পিআইও হিসেবে ১০ থেকে ১২ বছর দায়িত্ব থেকে আখেড় গোছানোর সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। ফলে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীরপ্রতীক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জনগণ ও মন্ত্রণালয়ের জন্য যা কল্যাণ করা, সেটি করেছি। জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পিআইও বদলির পাশাপাশি প্রত্যেকটি বদলিকৃত জায়গায় পূর্বের পিআইওর তিন বছরের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দিতে হবে। তিন বছরে ওই উপজেলায় কী কী প্রজেক্ট নিয়েছে, কি কি কাজ করেছে এটার পুরো লিস্ট দিতে হবে। এগুলো আমি মনিটরিং করছি। যারা পূর্বের তিন বছরের কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে পারবেন, তারাই (পিআইও) নতুন করে প্রজেক্ট পাবেন। আর যারা কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দিতে পারবেন না, তারা নতুন প্রজেক্ট পাবেন না। এই সমস্ত কাজের একটা হিসাব থাকা উচিত, এটা সরকারের টাকা, আমি জনগণের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছি, কি কি কাজে লাগানো হয়েছে, কোনো প্রকল্প ডুপ্লিকেট হচ্ছে কি না। মাঠপর্যায়ের কর্মকাণ্ড পিআইওদের সার্ভিস ফাইলের সঙ্গে যুক্ত করবো। যারা অন্যায় করবেন, তাদের সার্ভিস ফাইলে অন্যায়ের বিষয়টি যুক্ত থাকবে। জবাবদিহিতা তাদের করতেই হবে। অনেক পিআইওর বিদেশে বাড়ি-ঘর আছে। বিদেশে কার কার বাড়ি-ঘর আছে, সেগুলোর তথ্য একদিন মন্ত্রণালয় নেবে।
তিনি আরো বলেন, ডিআরও হিসেবে যাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, তাদের মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছিল। যারা ভালো কাজ করবেন তারা পদোন্নতি পাবেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের নির্দিষ্ট কর্তব্য রয়েছে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রের একটা পরিবর্তন এনেছেন, সেই বিপ্লবের ছোঁয়া তাদের লেগেছে।
সূত্র জানায়, নিজ জেলা ও উপজেলায় পিআইও বদলি বা পদায়ন করা হয়নি। এমনকি ডিআরও এবং পিআইওদের চাকরি জীবনে একই কর্ম¯’লে একাধিকবার সমপদে বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। ডিআরও ও প্রথম শ্রেণির পিআইওদের বদলির ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের। আর দ্বিতীয় শ্রেণির পিআইওর বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা অধিদপ্তরের। পিআইওদের চাকরির অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে উপজেলায় বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। ৮টির বেশি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলাকে ‘এ’, ৫ থেকে ৭ উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলাকে ‘বি’ এবং কমপক্ষে ৪ উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলাকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। একইভাবে ১০টির বেশি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত উপজেলাকে ‘এ’, ৭ থেকে ৯টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত উপজেলাকে ‘বি’ এবং অনধিক ৬টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত উপজেলাকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হিসেবে ৩ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলায়, ২-৩ বছরের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরির জেলায় এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া বা চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরির জেলায় পদায়ন করা হয়। অনুরূপভাবে প্রথম শ্রেণির প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরির উপজেলায়, দ্বিতীয় শ্রেণির সিনিয়র কর্মকর্তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরির এবং নতুন নিয়োগ বা চলতি দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরির উপজেলায় পদায়ন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুর্যোগ ব্যব¯’াপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে ¯’ানীয় এমপিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো কোনো উপজেলায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন পিআইওরা। কোনো কারণে অন্যত্র বদলি করা হলে আবার প্রভাবশালী মহল দিয়ে তদবির করে আগের কর্ম¯’লে ফিরে যেতেন তারা। তাদের জন্য মন্ত্রণালয়ে তদবির করতেন খোদ মন্ত্রী-এমপিরা। আর সব বদলি পদায়নে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগও বেশ পুরনো। বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে ছিল না দক্ষতা ও সিনিয়রিটির বালাই। অনেক ক্ষেত্রে ডিআরও এবং পিআইওদের রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাবশালী মহলের তদবিরই ছিল গুরুত্বপূর্ণ বদলি-পদায়নের প্রধান মানদ-। এসব বদলি ও পদায়ন নিয়ে টানাপোড়েন ছিল মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে। তবে, বর্তমানে অন্তর্র্বতী সরকারের দুর্যোগ ব্যব¯’াপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীরপ্রতীক এর কঠোরভাবে তদারকির কারণে পিআইও বদলি ও ডিআরও পদোন্নতিতে দুর্নীতি-অনিয়মের কোনো অভিযোগ ওঠেনি।
কয়েকজন পিআইও এবং ডিআরও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কর্মজীবনে সৎ থাকায় আওয়ামী লীগের সময়ে ভালো উপজেলায় পোস্টিং দেয়া হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনে তদবির ছাড়াই পিআইও হিসেবে ভালো উপজেলায় পোস্টিং পেয়েছি। আমাদের কাছে ছাত্র আন্দোলন আশির্বাদ হিসেবে এসেছে। অন্যদিকে ডিআরও পদ শূন্য থাকার পরেও আওয়ামী লীগ যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়নি। অন্তর্র্বতী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার সহায়তায় কোনো রকম তদবির ছাড়াই ডিআরও হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছি।
জানা গেছে, সরকারি চাকরি করলেও ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের জন্য দুর্নীতির করেন কিছু কর্মকর্তা। আর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সং¯’াগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বেড়েছিল। ফলে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব সং¯’ায় ঘুষ লেনদেন, সরকারি সম্পদ ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বেড়েছিল। দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতাসহ বিভিন্নভাবে অর্জিত ক্ষমতাকে নিজের সম্পদ বিকাশের লাইসেন্স হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন কিছু পিআইও। বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সেক্টরে দুর্নীতির দুষ্টচক্রকে রুখে দেয়ার চেষ্টা চলছে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তা-ঘাটের উন্নতি হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে জনবল ও উপকরণ সরবরাহের ত্রুটি না থাকলেও জনগণ তার ন্যায্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এর পেছনে প্রধান কারণ এই খাতের সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগণ চাওয়া পাওয়া ও ক্ষমতা প্রয়োগ। আর এই ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়াকে ঘিরেই দুর্নীতি ও অনিয়মের যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে একই চেয়ারে কর্মরত থাকার কারণে কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের প্রভুসুলভ আচরণ ও সরকারি সম্পত্তিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি মনে করতে শুরু করে দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে দীর্ঘদিন দাপটে থাকা পিআইও বদলির পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর অধিদপ্তর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অত্যন্ত সাহসী ও কঠোর মনোভাব নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা চালিয়েছেন এবং চালা”েছন। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও অসাধু পিআইও ব্যাপক আকারে শিকড় গেড়ে বসা দুর্নীতির যৎসামান্যই, শাস্তি হয়েছিল। এটা স্পষ্ট, এসব দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছিল আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারি শাসনব্যবস্থার জন্য। কেবলমাত্র চুনোপুঁটিদেরই শাস্তি হলেও রাঘববোয়ালরা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ সরকার মাঝে মাঝে লোক দেখানোর জন্য বিষাক্ত দুর্নীতি বৃক্ষের মূল কাণ্ড ধরে নাড়ানাড়ি করেছিল, কিন্তু‘ দুর্নীতি বৃক্ষের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারেনি। পিআইওদের অনেকেই ঢাকার বাইরে বদলি করলেও মূলত এরাই ঘুরে ফিরে তদবির করে ঢাকায় ছিলেন। দুর্নীতিপরায়ণ কয়েকজন পিআইওকে বদলি করা হলেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপিদের কারণে দুর্নীতির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বর্তমানে অন্তর্র্বতী সরকার থাকায় পিআইও বদলির প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। ইতোমধ্যেই যেসব পিআইওকে বদলি করা হয়েছে, তারা কাজে যোগদান করেছেন। এতে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কাজে গতি বেড়েছে। তাদের নতুন উদ্যমে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাস্তবমুখী, প্রয়োজনভিত্তিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করারও নির্দেশ রয়েছে।