আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য মানসম্মত বই দিতে এবার কঠোর অবস্থানে সরকার। প্রেসে-প্রেসে কাগজ ও ছাপা হওয়া বই তদারকির জন্য সরকার তৃতীয় পক্ষের দুটি ইন্সপেকশন এজেন্সি নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আবার নতুন করে শিক্ষা ক্যাডারের আরো ১৫০ জন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদের দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। চিঠিতে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ১১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এসব মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের ছাপার কার্যক্রম সরেজমিন তদারকি করতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৫০ জন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা নিয়মিত সংযুক্ত মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বাস্তবিত অবস্থা, কাগজ সরবরাহ, টেস্টিং রিপোর্ট, ছাপার মান, প্রতিদিনের কর্মপরিকল্পনা, বই ছাপার অগ্রগতি ও সরবরাহ প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান বলেন, বইয়ের মানের ব্যাপারে এবার কোনো ছাড় নয়। এজন্য সরকারি কলেজের শিক্ষকদের বইয়ের মান তদারকির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এতে নিম্নমানের বই দেয়ার যে ফাঁকফোকর রয়েছে সেগুলো ধরতে পারবে।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বই ছাপার আগে তিন স্তর এবং পরে এক স্তর; মোট চার স্তরে তদারকি করে পরিদর্শন এজেন্সি। শুধু তা-ই নয়, গভীর রাতে নিম্নমানের বই ছাপানো ঠেকাতে প্রত্যেকটি ছাপাখানায় ২৪ ঘণ্টার জন্য তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হয়। তারা প্রথমে প্রেসে কাগজের মান (স্থায়িত্ব ও জিএসএম) ঠিক আছে কি না, তা দেখে ছাড়পত্র দিলেই বই ছাপা হয়। ছাপা হওয়ার পর মান যাচাই করে ফের ডেলিভারির জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এই স্তরকে (প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন) পিডিআই বলে। বই পৌঁছার পর প্রত্যেক উপজেলা থেকে বই সংগ্রহ করে সেগুলোর মান যাচাই করতে (পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন) পিএলআই এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে এনসিটিবি।