অন্যরকম

গবেষণাগারে তৈরি হলো মানুষের মেরুদণ্ডের গঠন

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গবেষণাগারে সফলভাবে একটি নটোকর্ড তৈরি করেছেন ‘ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট’-এর গবেষকরা। মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নটোকর্ড, যেটি কেবল ভ্রূণ অবস্থায় মানবদেহে পৃষ্ঠদেশ বরাবর থাকে ও পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় রূপান্তরিত হয় মেরুদণ্ডে। এই যুগান্তকারী গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ। গবেষণায় বিশদভাবে উঠে এসেছে মানবদেহের মেরুদণ্ডের বিকাশ এবং নিউরাল ও হাড়ের স্টেম কোষের বিষয়। দণ্ডাকার এক ধরনের টিস্যু নটোকর্ড, যা দেহে ভ্রূণের বিকাশের সময় কাঠামোগত গাইড হিসাবে কাজ করে। একইসঙ্গে মেরুদণ্ড ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য টিস্যুও গঠন করে এটি। এ গবেষণায় নটোকর্ডের গঠন ডিকোড করার জন্য মুরগির বিভিন্ন ভ্রূণ বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাসায়নিক সংকেতের একটি সুনির্দিষ্ট ক্রম। আর এ বিষয়টিই মানবদেহের বিভিন্ন স্টেম কোষকে কাঠামো গঠনে সাহায্য করেছে। এরই ফলে গঠিত হয়েছে এক থেকে দুই মিলিমিটার আকারের ছোট ‘ট্রাঙ্ক বা মেরুদণ্ডের মতো’ অঙ্গ। এ গবেষণার মাধ্যমে মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটি ও আন্তঃভার্টিব্রাল ডিস্কের অবস্থা নিয়ে আরো গবেষণার দ্বার খুলেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ‘সায়েন্স টেক ডেইলি’। ‘নটোকর্ড তৈরির জন্য সঠিক রাসায়নিক সংকেত খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি ছিল সঠিক রেসিপি খোঁজার মতোই,’ বলেছেন এ গবেষণার প্রথম লেখক টিয়াগো রিটো। এটি দেহে এমন এক রাসায়নিক সংকেত পাঠায়, যা আশপাশের বিভিন্ন টিস্যু সংগঠিত করতে সহায়তা করে, ঠিক যেমন দেহের সাধারণ বিকাশের সময় ঘটে থাকে তেমন। গবেষকরা বলছেন, মানবদেহের টিস্যুকে সংগঠিত করে এমন রাসায়নিক সংকেত পাঠানোর মাধ্যমে নটোকর্ডের সক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবে বিকাশ করা যেতে পারে, যা মানুষের বেড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন রোগ বোঝার ক্ষেত্রে খুলে দেবে নতুন পথ।