ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশার প্রাকৃতিক শত্রুর সংরক্ষণ, বৃদ্ধিকরণ ও জনসচেতনতাণ্ড সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) আয়োজিত এক সেমিনারে এ পরামর্শ দেন কীটতত্ত্ববিদরা। সেমিনারে নিপসমের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, মশকের ঘনত্ব জরিপে যেসব ইনডেক্স ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনডেক্স হল ব্রটো ইনডেক্স বা বিআই। এ বিআই এর মান ২০-এর ওপরে হলেই মশকের ঘনত্ব বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে ধরা হয়। সেখানে ২০২৪ সালে মৌসুমি ঋতু পূর্ব ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯ টিতেই বিআই ২০ এর ওপরে।
একইভাবে ২০২৪ সালের মৌসুমি ঋতুর জরিপে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতে এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতেই বিআই ২০ এর ওপরে। যেখানে ২০২৩ সালে মৌসুমি ঋতু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টিতে এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতেই বিআই ২০-এর ছিল। ২০২৩ সালের মৌসুমি ঋতুর জরিপে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টিতে এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫টিতেই বিআই ২০-এর ওপরে। এমনকি ২০২৪ সালের মৌসুমি ঋতুর জরিপে বিআই এর সর্বোচ্চ মান দেখা গেছে ৭০ যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এভাবে চলতে থাকলে সারা বছরই ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করবে। নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এন্টোমলজি বিভাগের উপস্থাপনায় কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক ডা. নিলুফার ইয়াসমিন নিলি ও ডা. দিলখুশ জাহান যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। নিপসমের সব সম্মানিত অনুষদ ও এমপিএইচ এবং এমফিলের ফেলোরা সেমিনারে অংশ নেন।