ফুলকপির যত উপকারিতা!
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
শীতের তরতাজা ফুলকপি চলে এসেছে বাজারে। পুষ্টিগুণে ভরপুর শীতের সবজিটি নিয়মিত রাখা চাই পাতে। তবে রসনা বিলাসের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধে শীতের এই সবজির রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। কারণ, ফুলকপি খেলে অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ জটিল কিছু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে ফুলকপিতে থাকা খনিজ। অন্যান্য শীতকালীন সবজির মতই ফুলকপিতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। এছাড়া আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার মেশানো ক্যালসিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতাতেও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান রয়েছে। ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে, যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপি বিশেষ কার্যকরী। ফুলকপি ক্যান্সার সেল বা কোষকে ধ্বংস করে। এছাড়া মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুলকপি বেশ উপকারী। কারণ, এতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি। এসব বৈশিষ্ট্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ফাইবার। এছাড়া বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে উপাদানটি। ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে। কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে।