প্রশ্নফাঁসের মামলায় পিএসসির দুই কর্মচারী রিমান্ডে

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) বিজ্ঞান শাখার অফিস সহকারী মো. আব্দুল আজিম ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুপন চন্দ্র দাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে পিএসসির কার্যালয়ের সামনে থেকে আব্দুল আজিম ও রুপন চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। পরদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা তাদের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য গতকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করেন।

হেলথ ক্যাডারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব মানা হবে না। এদিন শুনানিকালে আব্দুল আজিম ও রুপন চন্দ্র দাসকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপ-পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার পর এখন পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা গত ৫ জুলাই পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন-ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একদল পরীক্ষার্থীর কাছে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং উত্তর বিতরণ করেছে। আসামিরা সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে বিগত বছরগুলোতে বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত।