রাজধানীর পল্টন থানায় করা যুবদল নেতা শামীম মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের এসআই ফেরদৌস আলম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথ তাদের জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যুবদল নেতা শামীম মিয়া হত্যা মামলার এজাহারে কামরুল ও সেলিমের নাম রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর এ মামলায় তাদের রিমান্ডে পায় পুলিশ। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগও পালটা সমাবেশ ডেকেছিল। ওই দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্য অনেক প্রভাবশালী নেতার মতো সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না। গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর কয়েক দফা বিভিন্ন মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। গত ১৩ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন পুলিশ। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোলায়মান সেলিম। তিনি একই আসনের সাবেক এমপি হাজী সেলিমের ছেলে।