অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ব্যক্তিদের বিএনপি নিজেদের প্রতিপক্ষ মনে করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তবে সরকারের উপদেষ্টারা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে প্রতিপক্ষের মতো কথা বলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার যোগ্যও নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে যারা সরকারে আছে তাদের দেশের জনগণই পদে বসিয়েছে। তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কী? জনগণের কল্যাণে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। যারা দোষ করেছেন, অপরাধ করেছেন, খুন করেছেন, দুর্নীতি করেছেন তাদের বিচারের চেষ্টা করবেন। যতটা পারেন করবেন। আর যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, সেই গণতন্ত্রের ক্ষেত্রটা তৈরি করে একটি নির্বাচন দিবেন।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্কে কমেন্ট করার কী দরকার? তারা কি প্রতিপক্ষ হবে? আমরা তো তাদের প্রতিপক্ষ মনে করি না। তারা আমাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার যোগ্যও না। আমরা রাজনীতি করি, তারা তো রাজনীতিই করে না। তাহলে প্রতিপক্ষ হবে কীভাবে। আমরা ইলেকশন করব। তারা কি আমাদের বিরোধী ইলেকশন করবে? তারা তো প্রতিপক্ষ না আমাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষ কবলিত জাতির জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রবাসে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সমুদ্র থেকে মৎস্য সম্পদ আহরণের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং বিদেশে মাছ রপ্তানি করেছিলেন। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন করেছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণের জন্য খাল কেটেছিলেন। এসব কি উন্নয়ন নয়? খালেদা জিয়া শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্যের ব্যবস্থা করে লেখাপড়ার প্রসার ঘটিয়েছিলেন, মেয়েদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। আজ যারা সমালোচনা করেন তারা অন্তত এরকম একটা কাজ করেন। করার পর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, যার সামর্থ্য কম, সে নিজের অক্ষমতা ঢাকার জন্য সমালোচনাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। মিথ্যা সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের জানান তিনি। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (রুনেসা) সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, কৃষকদল সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, রুনেসার সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীর প্রমুখ।