সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় সরকার এবং গোয়েন্দা বাহিনীর দায় আছে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। সংগঠনটি বলছে- সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড দেশের ইতিহাসে একটি বিরল এবং দুঃখজনক ঘটনা। এর আগেও বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যেমন ছাত্রদের বিনা বাধায় সচিবালয়ে প্রবেশ, আনসারদের আন্দোলন, কলেজের ছাত্রদের মধ্যে মারামারি, তাবলিগ জামাতের অন্তকোন্দলে প্রাণহানিসহ আরো অনেক বিশৃঙ্খলা। তবে এসব ঘটনায় সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, সরকার এই ঘটনার তদন্তে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদ রহীমকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে অতীতে অন্যান্য ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তার রিপোর্ট জনগণের সামনে আসেনি। এবি পার্টি আশা করছে, এবার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মঞ্জু আরো বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ে বিগত সরকারের দুর্নীতির নথিপত্র সংরক্ষিত ছিল। তার মতে- সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটানো হতে পারে। তিনি বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং পতিত ফ্যাসীবাদের দোসরদের বিচার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দ্রুত জোরদারের দাবি জানান। এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, অথচ দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কাছে কোনো তথ্য ছিল না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তিনি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। তিনি অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
এসময় এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, ইঞ্জিনিয়ার ড. মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ মাহমুদ রোমেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।