শীত এলেই ধুলোবালির প্রভাবে আমাদের অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অ্যালার্জিতে ভোগেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অ্যালার্জি হয় ধুলো থেকে। চোখ থেকে অনবরত জল পড়া, শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব বা ত্বকে র্যাশ- কতো কি! অ্যালার্জির জ্বালায় যেন নাজেহাল। এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে উপায় কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে এই অসুখ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চিকিৎসার পাশাপাশি এমন কিছু খাবারও খেতে হবে যা অ্যালার্জির সমস্যার বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। ডাস্ট থেকে বাঁচার এক উপায় হচ্চে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা। লেবু, আমলকিসহ সাইট্রাস জাতীয় সব ফল খেতে পারেন। ভিটামিন সি নাক বন্ধভাব দূর করে ও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখে।
অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়ার আরেকটি উপাদান ঘি। এটি ডাস্ট অ্যালার্জির প্রতিরোধে দুর্দান্ত কাজ করে। অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি ও অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে এক চা চামচ ঘি উপকার বয়ে আনবে। অ্যালার্জি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত টকদই খেতে পারেন। কারণ এতে থাকে প্রোবায়োটিক। এই উপাদানটি ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী।
মধু ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা অনুযায়ী, মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও মধুতে থাকা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জি ব্যাশ কমায়।
ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক এই ভেষজ উপাদানটি ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ কমায়। ৩-৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। অ্যালোভেরাতে ব্যথানাশক এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। যা ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কমায়।
ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কাটাতে স্টিম নিতে পারেন। এজন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার থেকে নির্গত বাষ্প নাক এবং মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন। অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে কমপক্ষে ১০ মিনিট স্টিম নিন। এতে নাকের বন্ধভাব দূর হবে। অ্যালার্জির সমস্যা যে কতটা কষ্টদায়ক এবং বিরক্তিকর, এটা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। তবে নিয়ম মেনে চললে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্ভব। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে বাঁচতে বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন, হাইজিন মেনটেইন করুন ও সুস্থ থাকুন।