জাতিকে বদলে দেওয়ার জন্য যেন আপনাদের অন্তরে যেন জায়গা পাই বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যদি দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করি, তাহলে আপনাদের অন্তরের ভালোবাসা চাই। আপনারা যেন আমাদের ভালোবাসা উপহার দেন। ভালোবাসার সঙ্গে যেন সমর্থন ও সহযোগিতা পাই। সমর্থন ও সহযোগিতার পাশাপাশি জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেন আপনাদের পাশে পাই। জাতিকে বদলে দেওয়ার জন্য যেন আপনাদের অন্তরে একটা জায়গা পাই। এই চারটা জিনিস যদি দেশবাসী উপহার দেয়, আমরা দেশবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকব। গতকাল সকালে যশোর ঈদগাহে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াত ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ পেলে চাঁদাবাজি, দখলদারের অস্তিত্ব থাকবে না। ঘুস থাকবে না। যশোর জেলা উন্নয়ন বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, পুরাতন জেলা হিসেবে যশোরের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই শহরকে কেন্দ্র করে প্রাণকেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার। পার্ক নেই, মাঠ নেই, জলাধার নেই। উন্নয়নের কথা বলে ক্ষমতায় যাওয়ার আগে মানুষের পা ছুঁয়ে নেয়, ক্ষমতায় গেলে তারা ভুলে যায়। ভাবে পাঁচ বছর পর আবার পা ছুঁয়ে নিলে হয়ে যাবে। মাঝখানে তারা মানুষকে মনে রাখে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরা ডাকাতি করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনীতিকে সচলে চেষ্টা করছে। আমরা চাই অর্থনীতি আরো গতিশীল হোক। বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আরো উদ্যোগী হোক।
দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একদল চাঁদাবাজি করে চলে গেছে। আরেক দল আসুক, আমরা তা চাই না। দেশে কি চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে। এজন্য তো এতো মানুষ শহীদ হননি। আমরা যেন শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না করি। এসব ঘৃণিত কাজ করলে শহীদদের সঙ্গে বেঈমানি হবে। আপনারা এই ঘৃণিত কাজ করবেন না। তিনি আরও বলেন, এদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারাই সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘে চিঠি লিখে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছিলাম। এখনও বলছি তদন্ত করুন। দোষী প্রমাণিত হলে বিচার দাবি করছি।
কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, মাওলানা আজিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আমির অধ্যাপক আলী আযম, সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, মাগুরা জেলা আমির এম বি বাকের, নড়াইল জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, শহিদ আবদুল্লাহর পিতা আবদুল জব্বার, যশোর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, যশোর পূর্ব জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুল আজিজ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আবদুল মান্নান, যশোর জেরা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের প্রমুখ।