দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
বগুড়া : পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়েসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় জেলার কাহালু উপজেলার দরগাহাটে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানে থাকা বাবা মেয়েসহ তিনজন, গাবতলী উপজেলায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গৃহবধূ এবং অপরজন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। বগুড়ার কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, শনিবার সকাল ১ টায় কাহালু উপজেলার দরগাহাট এলাকায় একটি যাত্রীবাহি অটোরিকশা ভ্যান চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে নওগাঁগামী একটি ট্রাক ভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রীরা ছিটকে পরে যায় এবং ভ্যানটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। যাত্রীবাহি ভ্যানে থাকা কাহালু উপজেলার নারহট্ট এলাকার মো: ফারুক (৪০) ও তার শিশু কন্যা হুমায়ারা (৭) ও ভ্যান চালক শাহিনুর রহমান (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে কাহালু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করেন এবং নিহতদের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুরে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে গৃহবধূ রেশমী খাতুন নিহত হয়েছেন। নিহত রেশমী গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘীর কালাইহাটা এলাকার যুবায়ের হোসেনের স্ত্রী। বগুড়া গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিক ইকবাল জানান, স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অসাবধানতাবশত স্ত্রী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান এবং পেছনে থাকা একটি বালুবাহী ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যান। এছাড়া বগুড়া সদর থানার নারুলী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক জানান, শনিবার সকাল ১০টায় বগুড়া শহরের নারুলী গণকবর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মানসিক প্রতিবন্ধী মো: ফরিদ (৩৬) নিহত হয়েছেন। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলার মৃত সিরাজুলের ছেলে। করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সে নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের আত্মীয়রা জানান, ফরিদ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কক্সবাজার : মেরিনড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাজিদ কবির (১৭) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।গতকাল ইনানী সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহদের দুই বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছে। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শাহজাহান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত সাজিদ কবির টেকনাফ উপজেলার সাবরাং খাটাবনিয়ার বাসিন্দা ও কক্সবাজার সমবায় কার্যালয়ের উপ-সহকারী নিবন্ধক কর্মকর্তা মো. কবিরের ছেলে। সে ২০২৪ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি করে ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি হয়েছিল।