নতুন বছরের দ্বারপ্রান্তে এসে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করছেন? নতুন বছর নিজেকে সুস্থ রাখতে যেসব অভ্যাস মেনে চলতে পারেন চলুন তা জেনে নেয়া যাক- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : আগামী বছর প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করুন। এ ৩০ মিনিট হাঁটে পারেন বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যকে দিকে মনোযোগী হোন : সবাই শারীরিক স্বাস্থ্যর দিকে খেয়াল করলেও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যায় অনেকেই। কাজের গতিশীলতা ও মনোযোগ বৃদ্ধির করতে মানসিক স্বাস্থ্যর দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। দিনে একটি সময় বের করে নিতে হবে নিজেকে ভালো রাখার জন্য।
স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন : তথ্যপ্রযুক্তি উন্নতির হলে আমরা সবাই এখন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পরেছি। যার ফলে দিনের বেশ অনেকটা সময় আমরা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে স্ক্রিনিং করি। এতে দিনের অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। তাই সময়ের ব্যয় কমাতে স্ক্রিনিংয়ের সময় কমিয়ে আনতে পারেন। যেমন দিনের একটি বিশেষ সময় শুধু স্ক্রিনিং করবেন, যা আপনার কাজে ফোকাস উন্নত হবে একই সঙ্গে চোখের চাপ কমাবে।
নিজের যত্নে নিন: নিজেকে সময় দিন। আপনার শখগুলো পূরণ করুন। যেসব কাজ করলে নিজে ভালো থাকবেন সেসব কাজ করতে পারেন। যেমন- স্পা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, গান শোনা ইত্যাদি। এ অনুশীলন আপনার সামগ্রিক মেজাজ এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করবে। তাই এই অভ্যাসগুলো প্রতিদিনের রুটিনে গড়ে তুলুন।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন : নতুন বছর নিজের ডায়েট লিস্টটা ঠিক করে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে নতুন বছরে প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বিদায়ও জানাতে পারেন। আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন ফল, শাকসবজি বা সুষম খাবার।
হাইড্রেটেড থাকুন : সুস্থ থাকতে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখাটা জরুরি। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। মনে রাখবেন, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং শক্তির মাত্রা বজায় রাখার জন্য হাইড্রেশন ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান : নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। কারন সঠিক সময়ে রোগ ধরা পরলে তার চিকিৎসা সম্ভব। এ জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, কিডনি পরীক্ষাসহ ডেন্টাল চেকআপ করতে পারেন।
একটি স্কিন কেয়ার রুটিন জরুরি : শারীরিক, মানসিক যত্নে পাশাপাশি নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং কিংবা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ত্বকের যত্নে জন্য দিনের একটি সময় আপনি নির্ধারণ করে নিতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম : পর্যাপ্ত ঘুম না হলে যেন দিনের শুরুই ভালো হয় না। তাই প্রতি ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমের লক্ষ রাখুন। এ ছাড়া সৃজনশীল কাজ বা নিজের শখকে সময় দিন, যা আপনার কাজের উন্নত করতে এবং চাপ কমাতে সাহায্য করবে।