ঢাকা ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বস্তায় আদা চাষে বাম্পার ফলন

বস্তায় আদা চাষে বাম্পার ফলন

কৃষক আব্দুল হালিম বাড়ির আঙিনায় বস্তায় আদা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে। স্বল্প খরচে এ চাষে লাভের আশায় মুখে হাসি ফুটেছে ওই কৃষকের। এবার সিরাজগঞ্জে ২৫ হাজার বস্তায় আদা চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোটল ছোনগাছা গ্রামের কৃষক হালিম তার বাড়ির আঙিনায় ৫ শতক জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করা হয়েছে। ওই কৃষক বলেন, বাড়ির আঙিনায় ৭০০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে এবং এ পদ্ধতির চাষে বাম্পার ফলনও হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের পরামর্শ ও কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নেয়া হয়েছে এ চাষাবাদে। প্রথমে দিনাজপুর মাইজবাড়ি থেকে রোপণের জন্য থাইল্যান্ড ও বার্মা জাতের আদা বীজ সংগ্রহ করা হয়। চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে আদার বীজ রোপণে বেলে দো-আঁশ মাটি, কচুরিপানা, গোবর ছাই ফসফেট ও পটাস সার দিয়ে মিশ্রণ করে সিমেন্টের বস্তায় ভর্তি করা হয় এবং প্রায় ২ সপ্তাহ পর প্রতি বস্তার মাঝামাঝি স্থানে ২ থেকে ৩ টুকরো আদা রোপণ করি। আদা গাছ ১ ফুট বড় হলে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে এমিস্টারটপ ও স্ট্রমিন স্প্রে করা হয়। ইতিমধ্যে অনেক বস্তা থেকে আদা উত্তোলন করে প্রায় ১০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। ফাল্গুন মাসে আদার ফলন আকার পরিপূর্ণ হলে উত্তোলন করা হবে। প্রায় ১১ মাস পর আদা উত্তোলনে প্রতি বস্তায় ২ থেকে আড়াই কেজি আদার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বল্প খরচে এ চাষে লাভের আশা বেশি। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ দেখতে আসছেন অনেক কৃষক। এ আদা চাষে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ১১ মাসে প্রতি বস্তায় ২ কেজি করে আদা উৎপাদন হলে দেড় লাখ টাকা থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার আদা বিক্রির আশা রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, জেলায় এবার প্রায় ২৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এ চাষে বাম্পার ফলনেরও আশা রয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পটল ছোনগাছা গ্রামের ওই কৃষককে এ আদা চাষে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য মনোনীত করা হয় এবং তাকে বীজ ও সার বাবদ আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিতে আদা চাষে সরকারিভাবে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং এ পদ্ধতিতে আদা চাষাবাদে কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধকরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত