রাত ১২টা ১ মিনিটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে শুরু হয় রঙিন আলোর ঝলকানি। আতশবাজি আর ফানুস উড়িয়ে ২০২৫ সালকে জানানো হলো স্বাগত। সৈকত ছাড়াও মুহুর্মুহু আতশবাজির শব্দে প্রকম্পিত হয় পুরো শহর। প্রশাসনিকভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানেনি কেউ। সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ বরণ করে নিল নতুন ২০২৫ সালকে। কক্সবাজারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান না হলেও তারকা মানের হোটেলগুলোতে হয়েছে জমকালো অনুষ্ঠান। কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে ঘিরে সৈকতসহ হোটেল-মোটেলগুলোতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা। সৈকতের বালিয়াড়িতে ছিল না কোনো আয়োজন। সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটা নীরব ছিল সাগর তীর। কিন্তু রাত ১১টা পার না হতেই সৈকতে দলে দলে জমায়েত হতে শুরু করেন পর্যটকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। রাত সাড়ে ১১টা বাজতে না বাজতেই সৈকতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাহেলা বৃষ্টি বলেন- সৈকতে এমন আলোর ঝলকানি দেখার জন্য আসা। এখন খুব ভালো লাগছে, আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করতে পারলাম। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মিনহাজ ও সুমি জানান, প্রতি বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তারা কক্সবাজারকে বেছে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে কক্সবাজারে। এদিকে, জমকালো অনুষ্ঠানে বর্ষবরণ করেছে তারকা হোটেলগুলো। বিশেষ করে গানে গানে পর্যটকদের মাতিয়ে রাখে তারকা শিল্পী ইমরান, পড়শী ও কর্ণিয়া। গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ করে আর নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান হোটেলে অবস্থান করা অনেক পর্যটক। আনন্দের মধ্য দিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পারায় দারুণ খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা। কক্সবাজারে অন্যতম তারকা মানের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের গেস্ট রিলেশন অফিসার সোমাইয়া আকতার রাবু বলেন- হোটেলে ইনডোরে অতিথিদের জন্য জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছে। বর্ষবরণে দেশের নামকরা শিল্পীরা মাতিয়েছে পুরো অনুষ্ঠান। নতুন বছর উদযাপনকে ঘিরে সৈকত থেকে শুরু করে হোটেল মোটেল জোন ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ছিল নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা। প্রতিটি পয়েন্টে নিয়োজিত ছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে পর্যটকরা থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করেছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ছাড়াও জেলার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।