বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দেয়া আশ্বাস অনুযায়ী নির্বাচন না হলে জনগণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা উৎসবে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় দুদু বলেন, বিএনপিসহ ছোট-বড় যেসব দল আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তৈরি আছে। এখন কোনো টালবাহানা জাতির সঙ্গে না করা ভালো। সরকারের সবাই কমবেশি একই কথা বলেছেন, এই বছরের শেষ বা ২০২৬-এর প্রথমে নির্বাচন হবে। এর বাইরে না যাওয়া বোধ হয় জাতি ও গণঅভ্যুত্থানের জন্য পরিপূরক হবে। এর বাইরে গেলে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। তখন বিষয়টি বিতর্কিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এ জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে শেখ মুজিব টেকেনি, শেখ হাসিনাও টেকেনি। আগামী দিনেও যদি কারো মাথার ভেতর এই প্রতারণার বিষয় থেকে থাকে আমি তাদের অনুরোধ করবো বাস্তবতায় আসুন। তাহলে বুঝতে পারবেন, কোন কাজটা আগে করতে হবে, কোন কাজটা জরুরি। এই জিনিসটা যদি আপনারা বুঝতে পারেন, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাংবাদিক ও মিডিয়া যেমন দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারো, ঠিক তেমনি দেশবিরোধী ভূমিকাও কখনো কখনো তারা পালন করে। এ দেশে সাংবাদিকদের যেমন দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে আন্দোলন, সংগ্রাম, লড়াইয়ের, তেমনি কিছু কুলাঙ্গারও আছে। এখনো আছে। তিনি বলেন, ২৪-এর পরিবর্তনে ছাত্র-জনতার যে ভূমিকা সেই ভূমিকা যেমন তুলে ধরতে হবে, তেমনি এটিও তুলে ধরতে হবে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আমাদের পথটা কি? গণতন্ত্র উত্তরণের একমাত্র পথ নির্বাচন। শেখ হাসিনা বাহানা করে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেই তথাকথিত নির্বাচনের প্রশাসক, পুলিশ, ইউএনও, ডিসি, নির্বাচন কমিশন ছিল আওয়ামী লীগের লোকজন। একমাত্র সাংবাদিকরাই নিজেদের অবস্থান থেকে যতটুকু পেরেছে সেটা জাতি, দেশ ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। তারাও নির্যাতিত হয়েছে এই সত্য বলার কারণে। এই পথে এলে সত্যের পক্ষে কাজ করতে হবে।
দৈনিক আমার পিরোজপুরের সম্পাদক কেএম সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বিএনপির নেত্রী অর্পনা রায়, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী প্রমুখ।