২০২৪ সালে ১ হাজার ১৫১টি নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে ২৮১টি নারী ও ৩৩১টি কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি, দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন নারী, ধর্ষণ-হত্যার শিকার হয়েছেন ৭ জন নারী, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৩৮ জন নারী ও আত্মহত্যা করেছেন ৪১৯ জন নারী। মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) থেকে পাঠানো ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৪ ও এমএসএফ’-এর পর্যবেক্ষণের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে দেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা যেমন; ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণ-হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা বিগত সময়ের তুলনায় চলতি বছরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে এসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন নারী। প্রতিবন্ধী ৬২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অপরদিকে ৩৬ জন প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু বিভিন্ন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে অপহরণ করা হয়েছে ১৫ জন নারীকে, নিখোঁজ রয়েছেন ২৯ জন নারী। নারী প্রতি সহিংসতার শিকারে রয়েছেন ১১ জন প্রতিবন্ধী নারী। শিশু ও কিশোরী প্রতি সহিংসতার মধ্যে ৩৩১টি ধর্ষণের ঘটনায় ২৬৫ জন শিশু ও কিশোরী ধর্ষণ, ৫০ জন দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে ১৬ জন শিশুকে, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৯৮ জন শিশু কিশোরী, ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭৭ জন শিশু কিশোরী। অপরদিকে ২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬৫ জন। আত্মহত্যা করেছেন ১৯১ জন শিশু।
আরো বলা হয়, ২০২৪ সালে মোট ১৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সমাজপতিরা আপস করেছেন, যা প্রচলিত আইনকে অবজ্ঞা করে বেআইনিভাবে তারা সালিশে মীমাংসার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩২ জন জীবিত ও ৬৪ জন মৃত, মোট ৯৬ জন নবজাতক শিশুকে পাওয়া গেছে যা অমানবিক ও নিন্দনীয়।