আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বাম, প্রগতিশীল ও উদারনৈতিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, ‘শুধু মেহনতি মানুষের রক্ত যাবে, অন্যরা ক্ষমতাভোগ করবে, তা হবে না। এবার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ফল জনগণ নিজের ঘরে তুলে নেবে। গতকাল বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ঢাকা সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন; গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; নিত্যপণ্যের দাম কমানো, জানমালের নিরাপত্তা, শোষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ২০২৪- এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থা’ বদলের লক্ষ্যে এ সমাবেশ করে সিপিবি। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে হলে খালি ঘরে বসে লড়াই করে গেলে চলবে না। নিজেদের সরকার গঠন করতে হবে। এবার বামপন্থিরা সরকার কায়েমের সংগ্রামে অবতীর্ণ হবে। সমস্ত প্রগতিশীল, বাম, উদারনৈতিক ও সৎ-নিষ্ঠাবান লোক ও দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, নৌকা, ধানের শীষ, লাঙন, দাঁড়িপাল্লা’ এই চারটিকে বাদ দিয়ে নয়া যুক্তফ্রন্ট গড়ে তোলেন। যুক্তফ্রন্টের সরকার গড়ে তোলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শাসনকে বিদায় নিতে হয়েছে। এ জন্য আমি বীর ছাত্রদের অভিনন্দন জানাই। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তার বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই আন্দোলনের সাফল্যের দাবিদার হয়েছেন। আমিই মাস্টারমাইন্ড, আমিই মিটিকুলাসলি নায়ক। শুধু জুলাই-আগস্টের ঘটনা দিয়ে জুলাই বিপ্লবের তাৎপর্য বোঝা যাবে না। গত ১৫ বছর ধরে শ্রমিক, জনতা, বাম রাজনৈতিক দল, বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রামের ফসল এই অভ্যুত্থান। কোনো মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে দেখতে পারত না।’