দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগে ইচ্ছুক যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা। এ জন্য সহায়ক পরিবেশ চান তারা। কারণ যে কোনো দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সহজে ব্যবসা করার সূচক রিপোর্টে উন্নতি, সুশাসন, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন জরুরি। ঢাকায় সফররত ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি দল গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-বিডার সঙ্গে এক বৈঠককালে এ সব দাবি করেছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রশংসার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন তারা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যবসায়িক সংগঠন ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকেবিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত সাত দিনব্যাপী এ সফরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে আরো রয়েছেন ব্রিটিশ এমপি ড. রুপা হক, ইউকেবিসিসিআই-এর সভাপতি এমজি মৌলা মিঞা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ, মিডল্যান্ড রিজিওন সভাপতি ইমাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য আবু সুফিয়ান রনি, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও এমএ কাদির। এছাড়াও রয়েছেন ব্যাংক অব এশিয়ার পরিচালক আশরাফুল হক চৌধুরী, সুরি ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ওয়াইউ জিয়ং, স্পিনর টেক লিমিটেডের প্রধান কর্মকর্তা কেন সু ও পরিচালক ইভা ঝাং, ম্যাট ট্যাম, গিনি লন্ডনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রবিন্দ্র জাং লামিছানি প্রমুখ। বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে সভায় বিডার পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী একেএম ফজলুল হক ও সেক্রেটারি ড. দেওয়ান চৌধুরী প্রমুখ। বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি রুপা হক জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। এ জন্য তারা বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ চায়। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষেত্রে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে। আমরা এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। ব্রিটিশ সরকারের এ এমপি বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্রিটিশ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা আরো বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ জানান, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এ সফরের মাধ্যমে আপাতত কৃষি, ফার্মাসিউটিক্যাল ও গার্মেন্টস সেক্টরে বিনিয়োগ আসবে। ইউকেবিসিসিআই-এর সভাপতি এমজি মৌলা মিঞা জানান, এরপরেও আরো বিনিয়োগ আসবে। এটি প্রাথমিক পর্যায়। তবে বিশ্বব্যাপি এআইয়ের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সেক্টরের দিকে বেশি আগ্রহ রয়েছে বৃটিশ ব্যাবসায়ীদের। এ বছরের শেষ নাগাদ এ সফরের বিনিয়োগ অসতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান। ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ জানান, এ সফরের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে পারে।