ঢাকা ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে গণপিটুনির প্রবণতা

৩৫ দিনে চারজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে গণপিটুনির প্রবণতা

নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এলাকায় ‘চোর’ কিংবা ‘ডাকাত’ শব্দ শুনলেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন যুবককে পাকরাও করে তার উপর সবাই চড়াও হচ্ছেন। লাঠিসোটা কিংবা হাতের কাছে যা পাচ্ছে তা দিয়েই এলোপাতাড়ি মারধর করা হচ্ছে। পরবর্তীতে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত যুবকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পত্রিকায় এমন ঘটনা নিয়ে সংবাদ হরহামেশাই চোখে পড়ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চারটি গণপিটুনির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এই চারটি নিহতের ঘটনা দুটি আড়াইহাজারে ও দুটি ফতুল্লার। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আইন কোনোক্রমে হাতে তুলে নেয়া যাবে না, এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। জনসাধারণকে আরো সচেতন হতে হবে। জানা গেছে, ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে আড়াইহাজার মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মকবুল হোসেন মুকুল (৪৫) নামে এক যুবক নিহত হন। পুলিশ জানায়, মকবুল হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় ডাকাতিসহ ৫টি মামলা রয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে বিল্লাল (৪৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত বিল্লাল আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মজিদের ছেলে। পুলিশ জানায়, বিল্লাল পেশাদার ডাকাত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে কামরুল হাসান (২৪) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। নিহত কামরুল হাসান চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার পশ্চিম কৃষ্টপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে। ১ ডিসেম্বর ফতুল্লায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নাদিম (৩৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে গণপিটুনিতে আহত হয় নাদিম। পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত