পুকুরে নদীর কোরাল মাছ চাষে সফলতা

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফরহাদ হোসেন, ভোলা

ভোলার চরফ্যাশনে বিভিন্ন পুকুরে নদীর কোরাল মাছ চাষ করে সফল হচ্ছেন মৎস্য চাষিরা। নোনাপানি কোরাল মাছ মিঠা পানিতে চাষ করে সফলতার আশায় অন্য মৎস্য চাষিরাও এ মাছ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলার ২০-৩০ জন মৎস্য চাষি ছোট বড় পরিসরে এ মাছ চাষ করছেন। রসুলপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৎস্য খামারি মিজানুর রহমান বলেন, আমি প্রায় বিশ বছর যাবত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছি। বর্তমানে আমি দুইটি পুকুরে কোরাল মাছ চাষ করি। স্বাদু পানিতে কোরাল মাছ চাষ করতে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) আমাকে মৎস্য চাষের বিভিন্ন উপকরণ দেয়। মূলত অনেক আগে থেকে শখ ছিল কোরাল মাছ চাষ করার। তবে কোরাল যে মিঠা পানিতে সহজ উপায়ে চাষ করা যায় এ সম্পর্কে ধারণা ছিল না। পরে চর কচ্ছপিয়ায় নদী থেকে পোনা সংগ্রহ করে কোরাল মাছ চাষ শুরু করি। আট থেকে নয় মাস পরপর প্রায় ১ লাখ টাকার কোরাল মাছ বিক্রি করি। কোরাল মাছ চাষের প্রক্রিয়ার বিষয়ে মৎস্য চাষি মিজান আরো বলেন, পুকুরে ছাড়ার আগে প্রথমে কোরাল মাছের পোনা এনে তাদের নেটে আটকিয়ে ডিমের কুসুম খেতে দেই। এতে অনেকাংশে পোনা গুলোর শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে নদী থেকে এনে মিঠা পানিতে চাষ করলেও তাদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক কমে যায়। পুকুরে কোরাল মাছের খাবার হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ও জীবিত পুটি মাছসহ বিভিন্ন ছোট মাছ দেই।

আরেক মৎস্য চাষি হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা কোরাল মাছ চাষি মেহেদী হাসান বলেন, অনেকদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলাম, তবে এখন ভেটকি (কোরাল) মাছ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। ভেটকি (কোরাল) মাছের তেমন রোগ-বালাই হয় না।

পুকুর ব্যবস্থাপনা ও খাবার ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক করতে পারলে এই মাছ চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়। চরফ্যাসনে ভেটকি (কোরাল) মাছ বাজারজাত করার ভালো ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকায় বিক্রিতে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, কোরাল মাছ চাষে মৎস্য চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে আমরা কাজ করছি এবং নিয়মিত তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। এই মাছ চাষে সফলতার হার খুব বেশি। তাছাড়া কোরাল মাছের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় অল্প পুজিতে বেশি লাভবান হওয়া যায়।