স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ ও ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ এবং প্রেসিডেন্টস রিসোর্টের এমডি এবিএম শাহরিয়ারের আয়কর নথিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব সম্পদ তার এবং তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের নামে নিবন্ধিত। দুদকের নথি অনুযায়ী, পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রধান থাকাকালে সাবেক আইজিপি ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রায় সব জমি কেনেন। দুদকের নথিতে দেখা যায়, বেনজির ও তার পরিবার ৮৩টি দলিলের মাধ্যমে ১১৪ একর জমি কিনেছিলেন। নথি অনুযায়ী, বেনজির পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে মোট ১১২ একর জমি কিনেছিলেন। আইজিপি থাকাকালে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫০টি দলিল করে ৬৩ দশমিক ৯৭ একর জমি কেনেন তারা। এছাড়া র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৭টি দলিল করে ৪৮ দশমিক ১৫ একর জমি কেনেন। দুদক আরো জানতে পেরেছে, ২০১৪ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার থাকাকালে পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে এক দশমিক ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে তার পরিবার। যার বেশিরভাগ জমি তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল।