পেটের চর্বি কমানোর সবজি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
কোনো একটি খাবার কখনই পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখে না। এজন্য খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরিবর্তনেরও দরকার আছে। হার্ভার্ড হেল্থ’য়ের তথ্যানুসারে ব্যায়াম, ধূমপান না করা, মানসিক চাপ কমানো, সুষম খাবার গ্রহণ ও বাড়তি চিনি না খাওয়া মাধ্যমেই পেটের চর্বি কমানো সম্ভব। আর সুষম খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু সবজি রাখা উপকারী যা পেটের মেদ ঝরাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ব্রকলি : পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবুজ এই সবজিতে দেহের মধ্যভাগের চর্বি কমানোর উপাদান রয়েছে। মার্কিন পুষ্টিবিদ ট্রিস্টা বেস্ট ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, ‘এই ক্রুসিফেরার ঘরানার সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এতে থাকা প্রধান উপাদান ‘সালফোরাফেন’ প্রদাহ কমাতে পারে। ফলে দেহের ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া ভালো হয়।’ ‘জার্নাল অফ দ্য অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্স’য়ে প্রকাশিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’র ‘কেক স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের করা গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়- নিয়মিত গাঢ় পত্র সবজি, যেমন- ব্রকলি ও শাক খাওয়ার মাধ্যমে পেটের চর্বি কার্যকরভাবে কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।’
গাজর : ওই একই গবেষণায় জানানো হয়, কমলা এবং উজ্জ্বল হলুদ সবজি থেকেও মিলবে একই রকম উপকার। যেমন- গাজর। লুটিন নামক উদ্ভিজ্জ উপাদান রয়েছে এই সবজিতে যা এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর পেটের মেদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বেস্ট বলেন, ‘আর বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা গাজর চিবিয়ে খাওয়া বেশি উপকারী। আর বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে মেদ ঝরার বিষয়টা সম্পর্কযুক্ত।’
লেটুস : প্রথমত এই পত্রল সবজিতে উচ্চ মাত্রায় লুটিন থাকে। আগেই বলা হয়েছে এর উপকারিতা। এই উপাদান ক্যারোটিনয়েডস দলের অন্তর্ভুক্ত। জাপানের ‘কিয়োটো প্রিফেকচুরাল ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিন’য়ের করা গবেষণা থেকে জানানো হয়, ক্যারটিনয়েডস সমৃদ্ধ সবজি ‘ভিসারাল ফ্যাট’ কমাতে পারে। এই চর্বি পেটের বিভিন্ন অন্ত্রের গায়ে লেগে থাকে।
কমলা ও হলুদ ক্যাপ্সিকাম : লুটিন সমৃদ্ধ অন্যান্য সবজির মধ্যে আছে হলুদ ও কমলা বেল পেপার বা ক্যাপ্সিকাম। স্বল্প ক্যালরির খাদ্যাভ্যাস গড়তে এই সবজি উপকারী। আর এটা পেটের কমাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
বিট : মাটির নিচে হওয়া এই সবজির নানান উপকারিতার মধ্যে পেটের মেদ কমানোর উপাদানও রয়েছে। এছাড়া হজম স্বাস্থ্যও ভালো করতে পারে। উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ, প্রতি কাপ থেকে মিলবে ৩.৮ গ্রাম। আর পর্যাপ্ত আঁশ গ্রহণ করা যে শরীরে জন্য উপকারী সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বেস্ট বলেন, ‘আঁশ পেটের মাইক্রোবায়োম’য়ের স্বাস্থ্য ভালো করে। যা মেদ কমানোর জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে।’
পালংশাক : সালাদ, হালকা ভেজে কিংবা প্রোটিন স্মুদি বানিয়ে এই শাক গ্রহণ করা যায়। বেস্ট বলেন, ‘যেভাবেই খাওয়া হোক, এই দারুণ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাকের রয়েছে পেটের চর্বি কমানোর ক্ষমতা। এতে থাকা আঁশ হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখে।’ আর ভিটামিন কে’তে পূর্ণ। এটা অনেক সময় দেহের ওজন ও পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
লাল ক্যাপ্সিকাম : পেটের চর্বি কমানোর জন্য আদর্শ একটি সবজি।
এই তথ্য জানিয়ে ট্রিস্টা বেস্ট বলেন, ‘ক্যালরি কম, পুষ্টিগুণ বেশি। এছাড়া দ্রুত পেটভরা অনুভূতি দিতে পারে এই সবজি। এই দুই গুণ মিলিয়ে সারাদিনে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে পারে লাল ক্যাপ্সিকাম।’ এছাড়া ক্যারোটিনয়েডস ‘লাইকোপিন’ থাকে উচ্চমাত্রায়। আর ক্যারোটিনয়েডস পেটের মেদ কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।