বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যুক্তরাজ্যের একজন এমপি দুর্নীতি করেছে এমন উদাহরণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু টিউলিপ সিদ্দিকের রক্ত শেখ পরিবারের। তাই সেখানকার এমপি হওয়ার পরেও টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এটিএম খালেদের শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বড় হয়েছে লেখাপড়া করেছে। ইংল্যান্ডের একজন এমপি দুর্নীতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। কিন্তু তার জিন হচ্ছে- বাংলাদেশের শেখ পরিবারের। ওখানে লেখাপড়া করে এমপি হওয়ার পরেও তার জেনেটিকাল যে লাইন সেই লাইন সে ক্রস করতে পারেনি। আর করতে পারেনি বলেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণগুলো এখন বেরিয়ে আসছে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার ভাগ্নি। ইংল্যান্ডের এমপি টিউলিপ ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংক থেকে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এটা একদম সুস্পষ্টভাবে গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি অপমানিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান তুলনামূলক কম। দলটির ভেতর রাজনৈতিক উন্নয়নের কথা নেই। তারা মনে করতো তাদের রাজনীতির বাইরে সবাই অপরাধী।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। তারা উন্নয়নের নামে টাকা পাচার করেছে। আজকে শেখ হাসিনা কি স্ট্যাটাসে ভারতে আছে? শেখ হাসিনার দুইটা পাসপোর্ট; দুইটাই বাতিল হয়েছে। তারপরও কি স্টাটাসে ভারত তাকে রাখে? এত বড় একজন দুর্নীতিবাজ ছাত্র-জনতার হত্যাকারীকে ভারত রাখে কীভাবে?
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগেরই একজন ঘনিষ্ঠ লোক বলেছেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় নেতা ছিলেন; কিন্তু তার পরিবারের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। তিনি তার ছেলে-ভাগ্নেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নাই। জাহানারা ইমাম শেখ হাসিনার কাছের লোক ছিলেন; তিনি এসব বলে গেছেন। দেশের উন্নয়ন বা দেশপ্রেমের নামে সবকিছুতে চাঁদাবাজি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন করতো; কারণ উন্নয়নের মধ্য দিয়েই তো টাকা পাচার করা যায়। উন্নয়ন কি তার বাবার টাকা দিয়ে করেছেন? উন্নয়নের নামে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে পাচার করেছেন। লুটপাট করেছেন।
এটিএম খালেদ হত্যার বিচার দাবি করে তিনি আরো বলেন, এতদিন হয়ে গেল তাদের বিচার এখনও হয়নি কেনো? এ দায় কৃষিবিদদেরও আছে। আমাদের সবার আছে। এরকম একজন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা মুক্তিযোদ্ধা তার হত্যার বিচার হলো না; এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।
কৃষিবিদ ড. রাশেদুল হাসান হারুন ও ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।