ঘোষণাপত্রে বিএনপির ভূমিকাও লিখতে হবে

জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বিএনপির ভূমিকা ও এর নেতৃত্বে বিগত আন্দোলনগুলো বিশেষত জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত ‘দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। ফারুক বলেন, আমরা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ঘোষণাপত্র সমর্থন করি। কিন্তু শুধু এই ঘোষণাপত্রে ১৯৪৭ সালের ইতিহাস, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বেগম খালেদা জিয়ার ভূমিকাসহ বিএনপির আত্মত্যাগও উল্লেখ থাকতে হবে। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পাঁচ বছর কারাগারে রেখেছিল শেখ হাসিনার সরকার, এ বিষয়গুলো ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ২৫ মার্চ কালোরাতের ঘটনার কথা, ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে শেখ মুজিবের আলোচনার বিষয়টিও উল্লেখ থাকা উচিত। ফারুক আরো বলেন, ‘গত ১৬ বছরে জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না। গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দাবি করলেও মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জনগণ। এসব বিষয় ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা উচিত। শুধু জুলাইয়ের আন্দোলন নিয়ে কথা বললে গণঅভ্যুত্থান সফল হবে না। তিনি পরবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা (প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টারা) সম্মানিত ব্যক্তি, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না করলে আপনাদের ক্ষমা করবে না। এখনো কেন চালের কেজি ৮০ টাকা? ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলস্বরূপ এই সরকার দ্রব্যমূল্যে ভ্যাট বসিয়েছে, যা জনগণের জন্য অপ্রত্যাশিত। সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে সিন্ডিকেট হয়েছে, এখন আপনার আমলেও সিন্ডিকেট চলছে। ৪০-৪৫ হাজার টাকায় ওমরার টিকিট কিনে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে- এগুলো নিয়েও কি আপনারা (উপদেষ্টা) জানেন না?’ ফারুক আরো বলেন, আপনারা আমার পাশে থাকলে আমি শক্তি পাই, কিন্তু যদি জনগণের পাশে থাকেন, তাহলে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘১৯৯১ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংস্কারের দরকার নেই। জনগণের জন্য যেসব সংস্কার দরকার, তা করতে হবে। জনগণ যদি ৪০ টাকা কেজি চাল কিনতে না পারে, তবে সেই সংস্কার আসলেই প্রয়োজন।’