ঢাকা ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আন্দোলনে গণহত্যা

তিন পুলিশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ট্রাইব্যুনালের

তিন পুলিশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এসি কনস্টেবলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এ আদেশ দেয়। পুলিশের তিন সদস্য হলেন- এসি তানজিল আহমেদ, কনস্টেবল হোসেন আলী এবং কনস্টেবল আকরাম হোসেন। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনজনের মধ্যে যাত্রাবাড়ীর ইমাম হোসেন তাইম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার পুলিশের এসি তানজিল আহমেদ এবং গাজীপুরের কোনাবাড়িতে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের আসামি পুলিশ কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে আগে ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে শুনানি শেষে আইসিটি মামলায় হোসেন আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর হয়। পরে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২০ জুলাই তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিতে নিহত হন। প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট তাইমের মা মোসা. পারভীন আক্তার এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে যান। আন্দোলনকারীরা তখন সেখানে বিক্ষোভ করছিল। তখন ডিসি ইকবাল হোসেনের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালানো হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় আন্দোলনকারীরা প্রাণভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু চায়ের দোকানে ঢুকে সাঁটার টেনে দেয়। কিন্তু সাঁটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। তখন সবার আগে দৌঁড় দিলে তাইমকে গুলি করা হয়। বিনা চিকিৎসায় তাইম সেখানেই মারা যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত