ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আর কখনো মাথা ঘামাবেন না। অতীতে করেছেন শেখ হাসিনার জন্য, এখন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেই। বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে ন্যায্য দাবি আপনাকে দিতে হবে। আর টালবাহানা চলবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক ফোরামের উদ্যোগে জনগণের উপর অযৌক্তিক ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভাজন চাই না, দেশে সবার ওপরে জনগণ থাকবে। জিয়াবাদ বা মুজিববাদও আর চাই না- জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে এমন বক্তব্য না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যে জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, যে জিয়া বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন, যেই জিয়া সার্ক গঠন করেছেন, যেই জিয়া খাল খনন করে কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যেই জিয়ার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করেছেন; সেই জিয়াবাদ নিয়ে দয়া করে কোনো মন্তব্য করবেন না।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাসিনার পতন শুধু জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করেছি। জেল জুলুম হামলা মামলা সব সহ্য করেছি। রাতে আমাদের ঘুম হারাম ছিল, কবরস্থানে ঘুমিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পেরেছি। আমরা আশা করি বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন দেবেন ড. ইউনূস, সে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে সংস্কার হবে, আইন প্রণয়ন হবে। সব কিছুই হবে, কিন্তু তার আগে ষড়যন্ত্র করে ১/১১ এর মতো বিলম্বিত করার কোনো অবকাশ বাংলাদেশে আর হবে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বলে বিএনপির লোক চলে যাবে। আওয়ামী লীগ এত বছর জুলুম নির্যাতন করলেও বিএনপির একটি কর্মীও এত বছরে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। অতএব বিএনপি খাঁটি গণতন্ত্রী, বিএনপি সংবিধানে অনুগত, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদদের আদর্শের দল। আমরা জীবন দেব, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছি, সামনেও করব। ফারুক বলেন, বাংলাদেশে আর ডিম, চাল, পেঁয়াজের সিন্ডিকেট হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যে বাংলাদেশের বিচারের নামে আর প্রহসন হবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ব, যেই বাংলাদেশে আর আয়নাঘর হবে না। এমন দেশ গড়ব, যে দেশে আর দুর্নীতি হবে না।