সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় এবার ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। মাঠজুড়ে সবুজ ভুট্টার সমারোহ দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মূলত রোপা আমন ধান কাটার পর বেশিরভাগ জমিতে ভুট্টার চাষ শুরু হয়। তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ, কাজিপুর এবং সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষের বিস্তার বেশি।
কৃষকরা বলছেন, ধানের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি। জমিতে সারিবদ্ধভাবে ভুট্টার বীজ রোপণ করা হয়। কিছু জমিতে এরই মধ্যে থোর বের হতে শুরু করেছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সোনালি রঙের ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে। ভুট্টার গড় উৎপাদন প্রতি বিঘায় ২৭ থেকে ২৮ মণ হতে পারে। ভুট্টার দানা ছাড়াও এর পাতা গবাদিপশুর খাদ্য এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। চাষাবাদ খরচ কম হওয়ায় এটি ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক বলে জানান কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ. জা. ম. আহসান শহীদ সরকার জানান, প্রান্তিক কৃষকদের উৎসাহিত করতে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের সঠিক পরিচর্যা এবং আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করছি এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে।