গত জুলাই-আগস্টে ইমাম তাইমিয়া নামের এক ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার গ্রেফতারকৃত যাত্রাবাড়ী থানার সে সময়ের ওসি আবুল হোসেন এবং যাত্রাবাড়ী জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমেদকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। প্রসিকিউশনের পক্ষে বিএম সুলতান মাহমুদ দুই মাস সময়ের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করেন।
আগামী ৬ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম দুটি আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল সেটি মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার পক্ষে আদালতে আমি সময়ের আবেদন করেছিলাম; কারণ তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রস্তুত হয়নি। পরে আদালত আমার আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মিজানুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার, সাইমুম রেজা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে আবুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার নয়াপাড়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে আবুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার গত বছরের ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। ওই সময় কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন। তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়।