ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রাণ গোপালের মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল যৌথবাহিনী

প্রাণ গোপালের মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল যৌথবাহিনী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ছাত্র-জনতার হাতে অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা দত্তকে (৩৮) উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। গতকাল রোববার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। তবে তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

সাবেক এমপি প্রাণ গোপাল দত্তের কন্যা ডা. অনিন্দিতা দত্ত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু তাকে তার বাবার সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়। এরপরও তিনি প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ খবর পেয়ে ক্যান্সার ভবনে রোববার সকালে ছাত্র-জনতার হাতে আটক হন। পরে ভবনের একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। শাহবাগ থানা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এরপর প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা যৌথ বাহিনীর হাতে তাকে তুলে দেয়। জানা গেছে, ছাত্র-জনতা ডা. অনিন্দিতা দত্তকে আটকের পর তিনি নিজেকে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করেন। এরপর উপস্থিত জনতা তার বাবার নাম ও পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভিসি প্রাণ গোপালের মেয়ে। এরপর তারা তাকে তার চেম্বারে নিয়ে যান। সেখান থেকে নেয়া হয় শাহবাগ থানায়। থানায় তাকে প্রথমে এসবি, আনসার সবশেষে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যৌথ বাহিনীকে খবর দেয়। এরপর তারা এসে তাকে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে তারা তাকে নিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, আমরা এখনো খবরটি পাইনি। এমন ঘটনা জানা নেই। ওসি এমন দাবি করলেও একাধিক সূত্র এবং ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওসি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এমন কথা বলেছেন। আসলে তিনি সব জানেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন, এটি হতে পারে না। জানা গেছে, কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে অনিন্দিতা দত্ত অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও রয়েছে। সেই মামলার আসামি তিনি। শাহবাগ থানা ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমদ বলেন, আমরা ভোর ৭টার দিকে তথ্য পেয়েছি প্রাণ গোপালের মেয়ে অফিসে এসেছে। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা আছে। মামলার বাদীর তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখানে এসেছি এবং তাকে অবরুদ্ধ করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত