শিম বিচির পুষ্টিগুণ
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক

শীতকালীন একটি সবজি শিম। বর্তমানে বাজারে শিমের বিচি পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে বেশি করে তা কিনে ভাপিয়ে সংরক্ষণ করছেন। কেউবা শিমের বিচি শুকিয়েও সংরক্ষণ করেন। শিমের বিচি কি শরীরের জন্য উপকারি না ক্ষতিকর? চলুন জেনে নিই- ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে আমিষের পরিমাণ ২২ দশমিক ৬ গ্রাম এবং মুরগির মাংসে রয়েছে ২৫ দশমিক ৯ গ্রাম। অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ আছে ২৪ দশমিক ৯ গ্রাম। অর্থাৎ শিমের বিচিতে আমিষের পরিমাণ গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের প্রায় সমান।
আমাদের দেশে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেই কোয়াশিওরকর রোগে আক্রান্ত হয়। এটি একটি আমিষের অভাবজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা বাড়ে না, দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না, কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়। কমে যায় স্মরণশক্তি, নিষ্প্রাণভাব দেখা দেয় পড়াশোনায় ও খেলাধুলায়। শিমের বিচি খেলে দ্রুত এই রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
প্রোটিনের উৎস : যারা নিরামিষভোজী কিংবা ধর্মীয় কারণে মাছ-মাংস, ডিম, দুধ খেতে চান না, তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে শিমের বিচি। ভেজিটেবল প্রোটিনে ভরা এই খাবার শরীরে প্রোটিনের দরকার এমন সব মাংসপেশিকে যথাযথ প্রোটিনের জোগান দেয়। শিমের বিচিতে আছে ক্যালসিয়াম যা হাড়কে শক্ত করে। বয়স বাড়লে যে কেউ অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। নারীদের এই রোগে আক্রান্তের হার বেশি। শিমের বিচিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : শিমের বিচিতে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য এটি ভীষণ উপকারী। শিমের বিচি খেলে দুধের পরিমাণ বাড়ে। যাদের ওজন বেশি, তাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এই বিচি।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে : বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। শিমের বিচিতে আছে আট ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা প্রতিকার করতে না পারলেও ক্যানসার সেলের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। হার্টের সুরক্ষায় বেশ কার্যকর শিমের বিচি।