উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও ঔষধি গুণে ভরপুর পেঁপে চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৃষক সাদ্দাম বাবু। উপজেলাটির কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রামের এই কৃষক শুধুমাত্র পেঁপে চাষ করেই বিপুল লাভের মুখ দেখেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ২ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন, যাতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে ফলনের পরিমাণ ভালো হওয়ায় লাভের পরিমাণও বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন। গত বছর একই জমিতে পেঁপে চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ করেছিলেন তিনি। সাদ্দাম জানান, শুধু উর্বর জমিই নয়, ভালো পরিচর্যার মাধ্যমে পতিত জমিতেও পেঁপে চাষ করা সম্ভব। তিনি বলেন, গত বছর ভালো লাভ হওয়ায় এবারও আমি পেঁপে চাষ করেছি। এরই মধ্যে বাজারজাত করার জন্য ফল সংগ্রহ শুরু করেছি। কিছু গাছে ফল ধরেছে, কিছু গাছে ফুল আসছে। পর্যায়ক্রমে সব গাছ থেকেই ফল পাওয়া যাবে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সোহেল মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ জানান, পেঁপে চাষ সারা বছর করা গেলেও আশ্বিন ও পৌষ মাস বীজ বপনের জন্য উত্তম সময়। সাধারণত রোপণের ৬-৭ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে ‘রেড লেডি’ জাতের পেঁপে বেশ জনপ্রিয়, যা প্রতি গাছে ৫০-১২০টি ফল দেয় এবং প্রতিটি ফলের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি হয়। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ১ হেক্টর জমিতে ২০০০ পেঁপে গাছ লাগানো গেলে ১ মৌসুমে প্রায় ৮০০ কুইন্টাল ফল উৎপাদন সম্ভব।
বাজারে চাহিদা ভালো থাকায় এতে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি অফিসার ছামিদুল ইসলাম বলেন, পেঁপে শুধু পুষ্টিকর খাদ্যই নয়, এটি একটি ওষধি সবজিও। এটি ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ ও রক্ত পরিশোধনের মতো নানা রোগের জন্য উপকারী। বগুড়ার কৃষকদের জন্য পেঁপে চাষ একটি লাভজনক ফসল হয়ে উঠছে। সাদ্দাম বাবুর সাফল্য দেখে অন্যান্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।