ঢাকা রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

করলার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

করলার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

স্বল্প সময়ে অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে করলার চাষ। ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বগুড়ার করলা। এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় খেতের মাচায় সবুজ গাছের মাঝে দুলছে করলা। কিছু করলা পেকে লাল হয়ে গেছে। প্রতিদিনই দুই বেলা সেই করলা জমি থেকে তুলে হাটে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর উপজেলায় স্থানীয় উন্নত জাতসহ বারি, হাইব্রিড জাতের করলা উৎপাদন হয়ে থাকে। বগুড়া সদরের কালিবালা এলাকার চাষি এরফান আলী জানান, বীজ বপনের ৪০ দিনের মধ্যেই গাছ থেকে করলা পাওয়া যায়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করলা সংগ্রহ করা যায়। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০ মণ পর্যন্ত ফসল পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি করা যায় প্রায় লাখ টাকা। কৃষি বিভাগ জানান, করলা বা উচ্ছে স্বাদে তিতা হলেও পুষ্টিকর সবজি। বাজারে দামও কম নয়। তবে সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। এর ওষুধি গুণ আছে। উচ্ছে বা করলা দেশের প্রায় সব জেলাতেই চাষ হয়। আগে গরমকালে বা খরিপ মৌসুমে উচ্ছে বা করলা চাষ হতো। তবে এখন সারাবছরই চাষ করা যায়। সুনিষ্কাশিত জৈব পদার্থযুক্ত দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি উচ্ছে বা করলা চাষের জন্য ভালো। ছায়াযুক্ত জায়গায় ভালো হয় না। পানি জমে না এ ধরনের প্রায় সব রকমের মাটিতেই চাষ করা যায়। বাংলাদেশের আবহাওয়া উচ্ছে বা করলা চাষের জন্য উপযোগী। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় উচ্ছে ভালো জন্মায়। উচ্ছে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু উপযোগী ফসল। এটি বৈরি পরিবেশ সহিষ্ণু উদ্ভিদ। মোটামুটি শুষ্ক আবহাওয়াতেও এর ফলন সম্ভব। উচ্ছে বা করলা জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পরাগায়ন বিঘ্নিত হতে পারে। বছরের যে কোনো সময়ে উচ্ছে বা করলা লাগানো যায়। তবে খরিপ মৌসুমে অর্থাৎ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এ সবজি ভালো হয়। বীজ বপন করার আগে মাটি ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে ১৫-২০ দিন বয়সের চারা পরের দিন বিকালে রোপণ করতে হবে। চারা মাটির দলাসহ লাগাতে হবে। তারপর গর্তে পানি দিতে হবে। উচ্ছে বা করলার সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হলো ফল ছিদ্রকারী পোকা। এই পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মাঝে মাঝে করলা গাছে ভালো কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত