ঢাকা শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পবিত্র শবে কদর পালিত

পবিত্র শবে কদর পালিত

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রজনী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে পালিত হয়। মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। পবিত্র শবে কদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করেন।

পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিবাগত রাতে মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানগণ নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন। পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে পরেরদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

এদিকে, একই দিনে এবার জুমাতুল বিদা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মার্চ শুক্রবার। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৭ রমজান শবে কদর পালন করা হয়। তবে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী প্রতি বছর একই দিনে শবে কদর অনুষ্ঠিত হয় না। সহীহ বিশুদ্ধ হাদিস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোনো বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে। বিভিন্ন সহিহ হাদিসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল কদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে।

হাদিসে এ কথাও উল্লেখিত আছে, যে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিজোড় রাত্রিতেই তা হয় না। অর্থাৎ কোনো বছরে ২৫ তারিখে হলো, আবার কোনো বছরে ২১ তারিখে হলো এভাবে। লাইলাতুল কদরের সওয়াব পেতে চাইলে ৫টি বিজোড় রাত্রেই তালাশ করতে হবে।

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান কর। (বুখারি, ২০২০)

রমজানের শেষ জুমাকে জুমাতুল বিদা হিসেবে পালন করা দিনটি মুসলিম উম্মাহর কিছু মানুষের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বছরের শ্রেষ্ঠ মাস রমজানের শেষ জুমা হওয়ার কারণে এটি তাদের মতো অনেকের কাছে মর্যাদাশীল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত