জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘এই দেশটা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের না, যারা এই দেশের নাগরিক তাদের প্রত্যেকের দেশ এটা। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড়ের নিজ উপজেলা আটোয়ারীর রানীগঞ্জ পটেশ্বরী কালিমন্দীরের দখল হওয়া জমি পরিদর্শনে এসে এ সব কথা বলেন তিনি। এ সময় সারজিস আলম বলেন, ‘পাঁচ আগস্টের পরে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এ জন্য আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, কারণ যারা এই কর্মকাণ্ড করেছে তারা সুযোগসন্ধানী দখলদার। এই কাজগুলো আওয়ামী লীগের সময়ও করেছে, এখনও কেউ কেউ করছে, আগামীতেও করবে। আসলে তারা কোনো দলের না, তারা হচ্ছে ধান্দাবাজ। তাদের জায়গা দেয়া যাবে না।’
এ সময় পঞ্চগড় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কল্যাণ কুমার ঘোষ, আটোয়ারী উপজেলা সভাপতি কমলেশ চন্দ্র আটোয়ারী উপজেলার সনাতন ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে গতকাল আটোয়ারী উপজেলা অফিস চত্বরে এক বিএনপি নেতার সঙ্গে বাগবিতণ্ডার বিষয়ে মুখ খোলেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘সেন্ট্রাল পর্যায়ে যারা নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে কিন্তু একটা সুন্দর তুলনামুলক মিউচুয়াল রেসপেক্টের সম্পর্ক থাকে। স্থানীয় পর্যায়ে কেন যেন কোনো একটা দল দেখলেই মনে করে যে তারা মনে হয় প্রতিপক্ষ। যারা নিজেদের মনে করে, তারা যেন ক্ষমতায় চলে যাচ্ছে। কয়দিন পরে তারা বাকিদের প্রতিপক্ষ মনে করা শুরু করে এবং ওইভাবেই ট্রিট করে যে, কাউকে একটু বাধা দিতে পারলে মনে করে বড় হয়ে গেলাম। আমার মনে হয়, ছোট মনমানসিকতা এখনও রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। হয়তো সেন্ট্রাল পর্যায় থেকে নির্দেশনা আছে, তারা যেন এগুলো থেকে বের হয়ে আসে, তারপরও তারা বের হতে পারছে না। এ জন্য আমার জায়গা থেকে মনে হয়েছে, গতকাল একজন কোনো কিছু না জেনে, না বুঝেই একটা জিনিসকে নিয়ে বিব্রত করে ইনটেনশন নিয়ে কথা বলতে পারেন কিনা।’