ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকাসহ ছয় জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

ঢাকাসহ ছয় জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ৬টি জেলা এবং ১টি বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ। জেলাগুলো হচ্ছে- ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী। আর বিভাগ হলো খুলনা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে এবং আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গরমের অনুভূতি আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই ৩ দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এর মধ্যে ১ম দিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর দ্বিতীয় দিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে তা অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর ৩য় দিন (৩০ মার্চ) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া, বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা : মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার জনপদ। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন রোজাদাররা। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়ছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন সীমিত আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজায় থাকছে না তাদেরকে শরবত পান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। কেনাবেচা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে বেলা ১২টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত