ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় সম্মত ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় সম্মত ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুনভাবে পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান। ওমানের মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় ওই বার্তা পাঠানোর কথা গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। আরাকিকে উদ্ধৃত করে ইরানি বার্তাসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, আমরা মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ চাপ নীতি ও বলপ্রয়োগের হুমকি মেনে নিয়ে সরাসরি সমঝোতায় যাব না। এ বিষয়ে তেহরানের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। তবে পরোক্ষভাবে সমঝোতা চলতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, ট্রাম্পকে লেখা চিঠিতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ইরান সরকারের প্রতি একটি চিঠি লিখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ক্ষমতায় আসার পর ইরানকে স্বভাবসুলভ কায়দায় হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। পারমাণবিক চুক্তি না করলে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্যকে অসত্য বলে খারিজ করে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। অন্যদিকে, আরাকি সাফ জানিয়ে দেন, সামরিক হুমকি আর সর্বোচ্চ চাপ নীতি জারি রাখলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব নয়।

আরাকি বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে খামেনির এক উপদেষ্টা কামাল খারাজি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্ব নিরসনের সব দরজা বন্ধ করা হয়নি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে সমঝোতায় তেহরানের সম্মতি আছে। ক্ষমতার প্রথম মেয়াদেও ইরানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পাঁচ পরাশক্তি ও জার্মানির সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির ধারা মেনে ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। তবে তেহরানের বিরুদ্ধে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনে ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন ট্রাম্প। এরপর থেকে একদিকে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকে আর অন্যদিকে তেহরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বোঝাও ভারী হতে শুরু করে।

পশ্চিমাদের অভিযোগ, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার বৃদ্ধি করেছে ইরান। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তেহরান সবসময় দাবি করে এসেছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমের একমাত্র উদ্দেশ্য বেসামরিক খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৯০ শতাংশের বেশি হওয়া প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার দাবি, ইরান এখন ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধকরণে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই মাত্রা অত্যধিক বেশি। এছাড়া, ৬০ শতাংশের সীমা থেকে অস্ত্র তৈরির জন্য সমৃদ্ধকরণ মাত্রায় পৌঁছাতে খুব বেশি ঝক্কি পোহাতে হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত