ঢাকা বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভোটের অধিকার বঞ্চিত করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

বললেন মির্জা ফখরুল
ভোটের অধিকার বঞ্চিত করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৪২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে- ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে দেশে-বিদেশে। আবার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য। আমরা সেটা হতে দেবো না, খুব পরিষ্কার কথা। সবাই সজাগ থাকবেন, সর্তক থাকবেন। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শেষ হয়নি। সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণের সরকার আমরা প্রতিষ্ঠা করবই করব।

মির্জা ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেব- এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনটা চাই। আমরা এখনো বলছি, রাস্তায় নামি না। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি এই ঈদসামগ্রী নিয়ে, ইফতারসামগ্রী নিয়ে, তাদের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমাদের স্বার্থে যদি, জনগণের স্বার্থে যদি কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয় তাহলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে। মাঠে নেমে তারা দাবি আদায় করে নিতে জানে। আমি কথাটা বলছি এজন্য যে, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খুব পরিষ্কার কথা। যে যেখানেই থাকেন, সেই ইউনাইটেড স্টেটে থাকেন, ফ্রান্সে থাকেন আর আমেরিকায় থাকেন; আর সেখান থেকে মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করছি। সুতরাং আমাদেরকে কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না, বাংলাদেশের মানুষকেও কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার কথা, আমরা ভারতের পক্ষেও নই, আমরা পাকিস্তানের পক্ষেও নই- আমরা আমেরিকার পক্ষেও নই, আমরা ইংল্যান্ডের পক্ষেও নই। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে। আমাদের নেতা তারেক রহমান খুব পরিষ্কার করে বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ- আমরা বাংলাদেশি। মির্জা ফখরুল বলেন, ৯০ শতাংশ নেতাকর্মীকে জেলে নেয়া হয়েছিল। আমাদের ২০ হাজারের মতো নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকার হত্যা করেছিল। প্রায় ১৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছিল। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা দিয়েছিল। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এই ধরনের নজির খুব কম। সেই একটা অবস্থা আমরা পার হয়ে এসেছি। আল্লাহতালার কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি যে তার অশেষ রহমতে- আমার কাছে মনে হয়, আল্লাহতালার অশেষ অলৌকিক শক্তি তার মাধ্যমে তিনি হঠাৎ করে একদিন হাসিনাকে যেন গুম করে দিলেন। হাসিনা গুম হয়ে গেছে আল্লাহতালার নির্দেশে। যে অত্যাচার-নির্যাতন তিনি মানুষের ওপরে করেছেন সেখান থেকে আপাতত মুক্তি পেয়ে একটা মুক্ত পরিবেশে একটা জায়গায় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি। মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলাম তুহিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীবিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত