কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে উপজেলার গোরকম-ল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের তিন নম্বর সাব-পিলারের পাশে শূন্য লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় মরাকুটি (ভোরাম পয়োস্তি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, নিহত ওই ব্যক্তির নাম জাহানুর আলম (২৪)। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে। পরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে গোরকম-ল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের পক্ষে ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের অধীন ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিতে নিহত ওই ভারতীয় চোরাকারবারির লাশ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে একদল ভারতীয় চোরাকারবারি ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মালের পোটলা নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে। এসময় ভারতীয় ভারবান্দা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এতে ভারতীয় চোরাকারবারি জাহানুর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, ভোরের দিকে একদল ভারতীয় নাগরিক টহলরত বিএসএফ পোস্টে হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে এক ভারতীয় হামলাকারী নিহত হন। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ। এর সঙ্গে বাংলাদেশ বা বিজিবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এরপরও সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।